আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে স্বপ্নের এক ওয়ানডে সিরিজ শেষ করেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন ডিপার্টমেন্টই আধিপত্য দেখিয়েছে টাইগাররা। তবে নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় পাওয়া মুশফিকুর রহিমের রানে ফেরা। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক তামিম ইকবাল শোনালেন মুশফিকের নতুন ভূমিকার প্রেক্ষাপট, যে ভূমিকায় সফল হয়েই তিনি সিরিজের সেরা।
আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে বিশ্বকাপের জন্য আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এই সিরিজে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরুর ঘোষণা আগেই দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই পথে প্রথম ম্যাচেই দেখা যায় কৌতূহল জাগানিয়া পরিবর্তন। চার নম্বরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সফলতম ব্যাটার মুশফিককে প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নামানো হয় ছয় নম্বরে। ওয়ানডেতে ৬ বছরের বেশি সময় পর তিনি ছয়ে নামেন। মাঝের ৭৫ ইনিংসে তিনি ব্যাট করেন চার ও পাঁচে।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ইনিংসে ব্যাটিং করে ১৪৪ গড় ১৪৪ রান করেছেন মুশফিক। ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবলের’ রানের সমান গড় হওয়ার কারণ প্রথম ইনিংসে দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকাটাই। মুশির রানে ফেরার পাশাপাশি দীর্ঘ সময় ধরে ব্যর্থ ছয় নম্বর পজিশনে তার সফল হওয়াটা আরও বেশি আনন্দ দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। পরিকল্পিতভাবে ইংল্যান্ড সিরিজের পর মুশফিককে মাহমুদউল্লাহর জায়গায় খেলার পারিকল্পনা কথা বলেছিলেন দলপতি তামিম ইকবাল। আর তাই হয়তো ড্রপ হয়েছেন রিয়াদ।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেন, ছয়ে ব্যাট করা কখনও কখনও অনেক ‘ট্রিকি।’ কারণ সবসময় ভালো শুরু হবে না। ১০০ রানে ৪ উইকেট পড়ে গেলে তার আসা লাগতে পারে। ৬ নম্বরে যে-ই ব্যাট করুক না কেন, খুবই ‘ট্রিকি’ পজিশন। রিয়াদ ভাইয়ের (মাহমুদউল্লাহ) কথা বলুন, আফিফের কথা বলুন, মুশির কথা বলুন, তাদের প্রতি আমার সফট কর্নার আছে। কারণ আমার সবসময় মনে হয়, ওপেনিং ছাড়া এটাই সবচেয়ে কঠিন জায়গা ব্যাট করার জন্য।
তামিম ইকবাল আরও বলেন, এটা আসলে গত সিরিজেই ঠিক করেছি, আমি আর কোচ মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ওকে (মুশফিক) ছয়ে ব্যাট করাবো। কারণটা হলো, আমার কাছে মনে হয়, তার চারে খেলার বিপক্ষে কিছু নয়, ওখানে অবশ্যই দুর্দান্ত খেলেছে, তবে ছয় নম্বরে ওকে দরকার, কারণ মাঝেমাঝে আমরা ভালোভাবে শেষ করতে পারি না। ওর অভিজ্ঞতা অনেক আর যে পরিমাণ শট ওর হাতে আছে, সেটা তো দৃশ্যমানই। যেভাবে ব্যাট করেছে এই দুই ইনিংসে। এটাই কারণগুলির একটি।
প্রাপ্তির ঝুড়ি উপচে পড়া সিরিজে একটা না একটা ছোট্ট আক্ষেপ থাকেই। সিরিজ শুরুর আগে থেকেই সাত নম্বর পজিশনটা মেহেদী হাসান মিরাজকে দিয়ে পরীক্ষা করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু অনুশীলনে মিরাজের চোট ভেস্তে দিয়েছে সবকিছু। দুই ম্যাচ মিস করার পর শেষ ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি মিরাজ।
/আরআইএম
Leave a reply