মিসাইল পরীক্ষার নামে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে উত্তর কোরিয়া। সবশেষ বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) জাপানের দ্বীপ হোক্কাইডোর খুব কাছে গিয়ে পড়ে একটি ক্ষেপণাস্ত্র। এর ফলেই জাপানে তৈরি হয় উদ্বেগ। মিসাইলটি হোক্কাইডোর মাটিতে আছড়ে পড়ার শঙ্কায় জারি করা হয় জরুরি অবস্থা। তবে সৌভাগ্যবশত সেটি গিয়ে পড়ে সমুদ্রে। এ ঘটনাকে চরম উস্কানিমূলক বলে মনে করছে টোকিও। খবর বিবিসির।
মূলত, বৃহস্পতিবার ছোড়া উত্তর কোরিয়ার মিসাইলটি ছিল মাঝারি বা দূরপাল্লা একটি ক্ষেপণাস্ত্র। ১ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে সেই মিসাইল গিয়ে পড়েছে জাপানের কাছে। তবে ঠিক কী ধরনের অস্ত্র এর মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছিল তা স্পষ্ট নয়।
হোক্কাইডো প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মিসাইলটি শনাক্ত করার পর আশঙ্কা করা হচ্ছিল এটি দ্বীপের মাটিতেই আছড়ে পড়বে। আর তাই নিরাপত্তার খাতিরে সাথে সাথেই গোটা দ্বীপে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। সরিয়ে নেয়া হয় বাসিন্দাদের। তবে মিসাইলটি উত্তর কোরিয়ার জলসীমার পূর্বাঞ্চলে পড়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জাপানের পূর্বাঞ্চলে। ফলে জরুরি অবস্থা জারির ৩০ মিনিট পরই তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, এই মিসাইল মাটিতে আঘাত করার আশঙ্কায় বাতিল করা হয় একাধিক ট্রেন চলাচল। সেই সাথে জরুরি অবস্থার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও খোলে অনেক দেরিতে। উত্তর কোরিয়ার এ ধরনের কার্যক্রমকে চরম উস্কানিমূলক বলে আখ্যা দিয়েছে টোকিও।
জাপানের দাবি, চলতি বছরে এরই মধ্যে ২৭টি মিসাইল ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া, যেগুলো এসে পড়েছে জাপানের কান ঘেঁষে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি বলেন, উত্তর কোরিয়া প্রতিনিয়ত এ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার প্রবণতা জাপানের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা বিষয়ক কাউন্সিলের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসনও এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এই অঞ্চলে অহেতুক উত্তেজনা বাড়াচ্ছে উত্তর কোরিয়া। একই সাথে এই অঞ্চলের নিরাপত্তাকেও হুমকির মধ্যে ফেলছে দেশটি।
মূলত, কয়েকদিন আগেই যুদ্ধ কৌশলে আরও আক্রমণাত্মক পদ্ধতি ব্যবহারে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেন কিম জং উন। এরপরই বৃহস্পতিবার এ মিসাইল ছোড়া হয়। এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার সাথেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে না উত্তর কোরিয়া, এমন অভিযোগ উঠেছে। চলতি সপ্তাহে দেশ দুটির মধ্যকার নিয়মিত যোগাযোগে অংশ নেয়নি পিয়ংইয়ং। এতে শঙ্কা বাড়ছে আরও।
এসজেড/
Leave a reply