ফিলিস্তিনের গাজায় ঘোড়াও পরছে ডায়াপার

|

ঘোড়াকেও পরানো হচ্ছে ডায়াপার। ফিলিস্তিনের গাজাতে শুরু হয়েছে কাজে ব্যবহার করা ঘোড়াদের জন্য নতুন ধরনের এই স্যানিটারি সিস্টেম। যাতে চলাচলের সময় পথেঘাটে মলমূত্র পড়ে থাকা বন্ধ করা যায়। শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখার পরিবেশবান্ধব এ উদ্যোগ এরমাঝেই বেশ সাড়া ফেলেছে অঞ্চলটিতে। খবর রয়টার্সের।

এই প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে হর্স এটিকেট। যাতে ডায়াপার হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বিশেষ ধরনের ব্যাগ।

মূলত অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে মালামাল বহনসহ নানান কাজে ঘোড়া ও গাধা ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। প্রতিদিনই তাই পথেঘাটে দেখা যায় প্রাণীগুলো। একস্থান থেকে অন্যস্থানে চলাচলের সময় এরা মল ত্যাগ করে পথেই। যার গন্ধে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় পথচারীদের। নোংরা হয় পরিবেশ। আর তাই স্যানিটারি সিস্টেম আধুনিকায়নে এ উদ্যোগ।

এ ব্যাপারে পরিবেশকর্মী আনোয়ার আল ঘায়াস বলেন, প্রাণীগুলোর গোবর থেকে যে দুর্গন্ধ হয় তাতে চলাচলে বেশ সমস্যা হয়। মশা ও মাছি হয়। পুরো পরিবেশটাই নোংরা হয়ে যায়। বিশেষ করে হাসপাতাল ও স্কুলগুলোর সামনে এরকম দৃশ্য বেশ বিব্রতকর। অনেকদিন ধরেই আমরা সমাধান খুঁজছিলাম। ডায়াপারগুলো বেশ সহজলভ্য। পানি দিয়ে পরিষ্কার করে পুনরায় ব্যবহার করা যায়।

পরিবেশবান্ধব এই পদ্ধতির ব্যবহারে ময়লা পরিস্কার করারও সুবিধা হয় পৌর কর্মীদের। সময় বাঁচার সাথে কমে স্বাস্থ্যঝুঁকি। এরমধ্যেই প্রকল্পটির সুফল পাচ্ছে বাসিন্দারা। দুর্গন্ধ কমে পরিচ্ছন্ন হয়েছে শহর।

সেখানকার পৌরসভার এক কর্মী সাহির খাত্তাব বলেন, এই প্রকল্প আমাদের কাজকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। এখন কাজ করতে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। গন্ধের কারণে অসুবিধায় পড়তে হতো পথচারীদের। কিন্তু আমাদের করার কিছুই ছিল না।

দিনশেষে ডায়াপার থেকে সংগ্রহ করা গোবর জমা করা হয় একটি নির্দিষ্ট স্থানে। দেয়া হয় কৃষিখামারে। ব্যবহৃত হয় জৈব সার হিসেবে। দেইর আল বালাহ শহরের পরিষ্কার পথঘাট দেখে ধীরে ধীরে অন্যান্য অঞ্চলেও চালু হয়েছে প্রকল্পটি।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply