ওয়াগনার বিদ্রোহে ইন্ধনের অভিযোগ অস্বীকার করলেন বাইডেন

|

ফক্স নিউজ থেকে সংগৃহীত ছবি।

সম্প্রতি রাশিয়ায় ভাড়াটে যোদ্ধা দল ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহে বর্হিবিশ্বের ইন্ধন ছিলো কি না- সেটিকে ঘিরে চলছে তুমুল চর্চা। মস্কোর অভিযোগ, মার্কিন গোয়েন্দারা এ বিদ্রোহের তথ্য আগে থেকেই জানতেন। এ বিদ্রোহ সফল হবে, এমন আশাও ছিলে তাদের। এরমধ্যেই, আত্মপক্ষ সমর্থন করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, পুতিন প্রশাসন যে এ অভিযোগও তুলবে- তা আমরা আগেই জানতাম। খবর সিএনএনের।

ক্রেমলিনের সাথে ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনারের দ্বন্দ্ব- স্পষ্ট ছিলো গত কয়েক মাস ধরেই। কিন্তু, সরাসরি সামরিক বিদ্রোহ শুরু হয়ে যাবে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি অনেকে।

এদিকে, পশ্চিমা গণমাধ্যমের দাবি- যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা আগে থেকেই জানতো এ বিদ্রোহের কথা। তাদের দাবি, বিদ্রোহ সফল হওয়ার অপেক্ষায় ছিলো বাইডেন প্রশাসন।

এ প্রসঙ্গে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, পশ্চিমা গণমাধ্যমে রাশিয়ার ঘটনা কীভাবে সম্প্রচার করা হয়েছে- সেটা আমাদের নজর এড়ায়নি। বিশেষভাবে সিএনএন’র নাম উল্লেখ করবো। তারা বলেছে যে, বিদ্রোহের কথা আগে থেকেই জানতো মার্কিন গোয়েন্দারা। কিন্তু, এ ব্যাপারে তারা কাউকে কিছু না বলার সিদ্ধান্ত নেয়। তারমানে, পশ্চিমারা চাইছিল যে বিদ্রোহ সফল হবে।

আর, এ অভিযোগ ওঠার পর থেকেই আত্মপক্ষ সমর্থণ করে নিজেদের পক্ষে সাফাই গাইছে বাইডেন প্রশাসন। তাদের দাবি, অভ্যন্তরীণ ইস্যু হলেও একদিন না একদিন ঘটনাটির জন্য পশ্চিমাদেরই দুষতো ক্রেমলিন। তাই, ঘটনাটি কূটনৈতিক উপায়ে সামলানোর চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

লাভরভের অভিযগের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, রাশিয়ায় যখনই বিদ্রোহের খবর শুনতে পাই; জাতীয় নিরাপত্তা দলকে বিষয়টি পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেই। প্রত্যেক ঘণ্টার তথ্য হালনাগাদ করে ওরা। এমনকি, মিত্রদের সাথে জুম কলেও কথা হয়েছে। কারণ, পশ্চিমা বিশ্ব আর ন্যাটোর ওপর প্রেসিডেন্ট পুতিন দায়ভার চাপাবেন- এমন সুযোগ আমরা কেউই দিতে চাইনি। কারণ, এই বিদ্রোহের সাথে আমরা কোনোভাবেই জড়িত নই।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ জুন রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তের রোস্তোভ শহরে ঢোকে ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার গ্রুপ। এ সময় বেশ কিছু সরকারি ও সেনা স্থাপনা দখলের দাবি করে তারা। কিন্তু, বেলারুশের মধ্যস্থতায় ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে শেষ হয় তাদের রক্তপাতহীন এ বিদ্রোহ। সমঝোতা হয় যে, ইউক্রেন ফিরবে ওয়াগনার। বিনিময়ে, দলীয় প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন ও যোদ্ধাদের ওপর থেকে সরানো হবে সব অভিযোগ।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply