বুধবার (১৭ জানুয়ারি) থেকে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরু হতে যাওয়া সিরিজের প্রাক্কালে টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে মন্তব্য করেছেন উইন্ডিজ গ্রেট ব্রায়ান লারা। অ্যাডিলেইড ও ব্রিসবেনে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ধারাভাষ্যকার করার জন্য এখন অস্ট্রেলিয়াতে অবস্থান করছেন এই কিংবদন্তি। সম্প্রতি ‘দ্যা এজ’ কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে টেস্ট ক্রিকেটের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে মন্তব্য করেছেন তিনি।
বেড়েছে ফ্রাঞ্জাইজি ক্রিকেটের আধিক্য। জাতীয় দলে খেলার চেয়ে অর্থ উপার্জনের দিকে ঝুঁকছেন বেশিরভাগ ক্রিকেটার। আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় সারির দল পাঠানো টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎকে আবারও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। দলের নিয়মিত মুখদের প্রায় সবাই নতুন করে শুরু হওয়া এসএ টোয়েন্টি খেলছেন। একই সাথে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট দলেও অনেক নতুন মুখের সমাহার। মূলত ফ্রাঞ্জাইজি ক্রিকেটের অর্থের ঝনঝনানি নেপথ্যের কারণ। এজন্য অবশ্য ক্রিকেটারদের দোষ দিতে চান না লারা।
কিংবদন্তি এই ক্রিকেটার বলেন, আমি কোনও খেলোয়াড়কে তাদের ভবিষ্যত সুরক্ষার জন্য নেয়া কোনো সিদ্ধান্তের বিপক্ষে বলতে পারি না! তাদেরকে দোষ দিয়ে অনুশোচনা করতে পারি না।
সব মিলিয়ে জাতীয় দলে নতুনদের আধিক্য বেড়ে গেছে; কিন্তু টেস্ট এবং ওয়ানডেতে খেলোয়াড়দের আগ্রহ দিন দিন কমছে। লারা আশা করছেন শুধুমাত্র ৩ মোড়লকে প্রাধান্য না দিয়ে আইসিসি এমন কোন মধ্যম পন্থা গ্রহণ করবে যাতে বাকি দেশগুলোও উপকৃত হবে।
ব্রায়ান লারা বলেন, টেস্ট ক্রিকেটটা আমি নিয়মিত খেলেছি। টেস্ট ক্রিকেটই আসল ক্রিকেট। টেস্ট ক্রিকেট মরে যাবে এমনটা আমি ভাবতেও চাইনা। তবে উদ্বেগ আছে। আমি আশা করবো অস্ট্রেলিয়া,ইংল্যান্ড ও ভারতের বাইরে বাকি দেশগুলোতেও টেস্টকে জনপ্রিয় করবে আইসিসি।
টেস্ট ক্রিকেটের এই কঠিন দুর্দশার কথা চিন্তা করে লারা স্মরণ করেছেন ৭০/৮০ দশকের দুর্ধষ্য উইন্ডিজ টিমের কথা; যখন অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ডের সাথে নিয়মিত সিরিজ খেলতেন তারা।
/আরআইএম
Leave a reply