হুমকিতে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুট, গুলির ঘটনায় তিনদিন ধরে বন্ধ ট্রলার ও স্পিডবোট চলাচল

|

ফাইল ছবি।

কক্সবাজার করেসপনডেন্ট:

মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের মধ্যে নতুন করে হুমকির মুখে পড়েছে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন নৌ-রুট। এই রুটে চলাচলকারী ট্রলার লক্ষ্য করে দু’বার এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়েছে সেখানকার বাহিনী। ফলে এ নৌ-রুটে ঝুঁকি থাকায় তিনদিন ধরে বন্ধ রয়েছে ট্রলার ও স্পিড বোট চলাচল। এতে কাঁচা বাজারসহ বিভিন্ন খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে দ্বীপটিতে। 

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, নিরাপত্তা বিবেচনায় ৩ দিন ধরে ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্পিডবোট চলাচলও বন্ধ রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো সংকট হয়নি। যাতায়াত নিয়ে অনেক সমস্যা হচ্ছে। আপাতত খাবারের সংকট নেই, তবে শাক-সবজি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সংকট দেখা দিতে পারে। কয়েকদিন নৌ-রুটটি বন্ধ থাকলে খাবারের সংকটও তৈরি হবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন হোসেন জানান, সেন্টমার্টিনে প্রায় ১০ হাজার মানুষের বসবাস। তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আনা-নেয়া টেকনাফ থেকে করতে হয়। মিয়ানমার থেকে যেহেতু বারবার গুলি ছোঁড়া হচ্ছে সেজন্য তারা সেন্টমার্টিন যাওয়ার বিকল্প নিয়ে ভাবছেন। নাফ নদীর পরিবর্তে অন্য পথ দিয়ে খাদ্যসামগ্রী আনা-নেয়া ও যাতায়াতের ব্যবস্থা করার বিষয়ে কাজ করছেন তারা।

তিনি বলেন, ওপারে যুদ্ধ চলছে। সেজন্য কারা গুলি ছুঁড়ছে তা তারা বুঝতে পারছেন না। এসব বিষয়ে সরকারকে জানিয়েছেন। স্থানীয়ভাবেও সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন।

উল্লেখ্য, বুধবার (৫ জুন) সন্ধ্যার দিকে সেন্টমার্টিন থেকে নির্বাচন শেষ করে নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে ফিরছিলেন দায়িত্বরতরা। এসব তাদের ট্রলার লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়। ওইদিন ২৫ থেকে ৩০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়া হয় বলে জানা যায়। পরে শনিবার (৮ জুন) টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে একটি মালবাহী ট্রলারকে লক্ষ্য করে আবারও গুলি ছুঁড়া হয়। এতে কোনও হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ট্রলারটির বিভিন্ন স্থানে ১০টির মতো গুলি লাগে।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply