বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) কি হবে তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। দায়িত্ব গ্রহনের প্রথম দিনেই অন্তবর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানিয়েছেন বিসিবি যেহেতু স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান তাই আইসিসির নিয়ম মেনেই বিসিবিতে হবে পরিবর্তন।
বিসিবির কাজ পরিচালনার জন্য নতুন করে পরিচালক ও বোর্ড গঠন জরুরী বলে মানছেন ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল হক। তিনি বলেন, বিসিবিকে নতুন করে সাঁজাতে হবে। আমরা টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছি ২০০০ সালে, আজকে ২০২৪ সাল। আমাদের ক্রিকেটে ২৪ বছরে কোনো উন্নতি দেখি নাই।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে বিগত দুই দ্শক দেখেছেন এই সংগঠক। বলছেন কাঠামোগত পরিবর্তন খুব জরুরী। দরকার দ্রুত পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। এ প্রসঙ্গে সৈয়দ আশরাফুল হক বলেন, আমাদের ক্রিকেট কাঠামোর কিছুটা উচ্চতি হয়েছে। কিন্তু তারপরেও আমাদের যে খেলার মাঠ তার সংখ্যা বাড়েনি। আমি যেটা মনে করি, আমাদের পরিকল্পনার অভাব আছে। পরিকল্পনার যদি থাকেও কিছু কিছু, সেটার কার্যকর করার অভাব আছে। কেউ এটি কার্যকর করে না।
সৎ ও কার্যকর সংগঠকদের আনলে দেশের ক্রিকেট এগিয়ে যাবে। বোর্ডের রিজার্ভে থাকা টাকা পয়সার যথাযথ ব্যবহার হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিসিবির জন্য সৎ লোক হচ্ছে প্রধান মানদণ্ড। বিসিবির এখন অনেক অর্থ আছে। এটাকে যদি ঠিকভাবে কাজে লাগানো যায় ন্যায়পরায়ণভাবে, স্বচ্ছভাবে এবং দায়বদ্ধভাবে তাহলে আমাদের দেশের ক্রিকেটের মানও উন্নতি হবে এবং কর্মকর্তারা যদি একটি নির্দিষ্ট দিকে যায় তাহলে নিচের স্তরের লোকজনও একইভাবে চলবে।
/আরআইএম
Leave a reply