চুয়াডাঙ্গা করেসপনডেন্ট:
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা সামান্য বেড়েছে। তবে শীত কমেনি একটুও। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র শীতের প্রভাব পড়েছে খেটে খাওয়া কর্মজীবী মানুষের ওপর। হাড়কাঁপানো শীত ও কুয়াশার মধ্যেই তাদের কর্মস্থলে ছুটতে হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল ৯টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বৃহস্পতিবার যা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, মাঝে কিছুদিন বিরতি দিয়ে জেলার ওপর দিয়ে আবারও তাপমাত্রা হ্রাস পাচ্ছে। এ অবস্থা আরও কয়েক দিন চলতে পারে।
তীব্র ঠান্ডায় ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষেরা। হতদরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষদের পোহাতে হচ্ছে অবর্নণীয় দুর্ভোগ। অনেকে কাজ না পেয়ে অলস সময় পার করছেন। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অনেকে।
চুয়াডাঙ্গা সরদার পাড়ার মৎস্য শ্রমিক আশিকুর রহমান বলেন, কয়েকদিন ধরে যেভাবে শীত পড়ছে, মাছ ধরতে পারছি না। পেটের দায়ে পুকুরে নামতে হচ্ছে।
ভ্যানচালক টুটুল হোসেন বলেন, শীতের মধ্যে ঘর থেকে বাইরে বের হমে মন চায় না। কিন্তু ঘরে বসে থাকলে তো আর পেট চলবে না। তাই বাইরে বের হতে হচ্ছে। কিন্তু রাস্তাঘাটে লোকজন নেই। যাত্রী পাচ্ছি না।
এদিকে শীতের কারণে কয়েক দিন ধরেই জেলার হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বারে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের ভিড় বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু, ডায়রিয়া ও মেডিসিন বিভাগে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে চিকিৎসক-নার্সদের হিমশিম অবস্থা।
সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের পরামর্শক মাহবুবুর রহমান বলেন, শীতের কারণে হাসপাতালে দুই ধরনের শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঠান্ডাজনিত রোগ ও রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া। প্রতিদিন বহির্বিভাগে শিশু রোগীর চাপ বেড়ে যাচ্ছে। আন্তঃবিভাগে শিশু ওয়ার্ডে গড়ে ৬০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। এ ছাড়া ডায়রিয়া ওয়ার্ডেও ৫০ থেকে ৬০টি করে রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।
/এমএইচ
Leave a reply