দেশের ক্রীড়াঙ্গনে ঘোর অন্ধকার। ক’দিন আগেই খেলোয়াড়দের ধর্মঘটের বিষয়টি সুরাহা হতে না হতেই আলোচনা কেন্দ্রীভূত বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ঘিরে। বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো খবর এলো, আইসিসির নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে যাচ্ছেন তিনি। জুয়াড়ির কাছ থেকে পাওয়া ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ গোপন করায় এই শাস্তি। আজকালের মধ্যে এ বিষয়ে বিসিবিকে অফিসিয়ালি জানাবে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ফলে, ভারত সফরে সাকিব না যাওয়াটা নিশ্চিত।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সূত্রের, আইপিএল ও বিপিএলের দুটি ম্যাচকে কেন্দ্র করে সাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে কাজ করছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। এ নিয়ে তদন্তের শেষ পর্যায়ে আছে তারা। তদন্ত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আইসিসির প্রতিনিধিরা সাকিবের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানা গেছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইসিসি এ ব্যাপারে কিছু একটা জানাবে। এজন্যই সাকিবকে ভারতে পাঠানোর ব্যাপারে দ্বিতীয় চিন্তা করতে হচ্ছে বিসিবিকে।
এ বিষয়ে সরাসরি কেউ কিছু বলতে চাচ্ছেন না। তবে, যতটুকু জানা গেছে সাকিবের অনুপস্থিতিতে বিকল্প চিন্তাও করছে বোর্ড। সেক্ষেত্রে ভারত সফরের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে মুশফিক এবং টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে মোসাদ্দেক সৈকতের কথা ভাবা হচ্ছে। সাকিবের অনুশীলন ম্যাচে না খেলাও আইসিসির বিধি অনুযায়ী হয়ে থাকতে পারে।
১১ দফা দাবিতে খেলোয়াড়দের ডাকা ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিনে সাকিবের সঙ্গে বিসিবির সম্পর্কে অস্বস্তি তৈরি হয়। এর মধ্যে, বিসিবির অনুমতি ছাড়াই গ্রামীণফোনের সাথে চুক্তি হয়ে আগুনে ঘি ঢালেন তিনি। এ নিয়ে বিসিবি সভাপতি সরাসরিই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। সাকিবের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বোর্ড।
তিনটি টি-টোয়েন্টি ও দুটি টেস্ট খেলতে বাংলাদেশ দল বুধবার সন্ধ্যায় দিল্লির উদ্দেশে দেশ ছাড়বে। গত ১৭ অক্টোবর ভারতে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করে বিসিবি। ইনজুরির কারণে অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন দল থেকে ছিটকে পড়ায় দলে একটি পরিবর্তন অনিবার্যই ছিল। তার বদলে দলে আসতে পারেন পেসার আবু হায়দার রনি। এরপর ব্যক্তিগত কারণে তামিমও নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আলোচনা কেন্দ্রীভূত হয়ে ওঠে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের যাওয়া না যাওয়া নিয়ে।
Leave a reply