জুয়াড়ির কাছ থেকে পাওয়া অনৈতিক প্রস্তাব গোপন রাখার অভিযোগে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন সাকিব আল হাসান। আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট-আকসু’র কোড অনুযায়ী এই ব্যবস্থা। প্রশ্ন উঠেছে আকসুর এই কোডে কী আছে?
আইসিসি দুর্নীতি বিরোধী আইনের ২.৪.৪ ধারাতে আছে, যদি কোনো খেলোয়াড় কারো কাছ থেকে আইসিসির বিধি আনুযায়ী দুর্নীতি বলে বিবেচিত এমন কাজে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব পেয়ে থাকেন তাহলে অনতিবিলম্বে তা আইসিসি’র দুর্নীতি দমন ইউনিটকে (আকসু) জানাতে হবে। কোনো কারণে বিলম্ব হলে সেটি পরিস্থিতির আলোকে বিবেচিত হবে। তবে, যে ম্যাচের জন্য খেলোয়াড়রা এমন প্রস্তাব পাবেন, সেটির হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয় বলে আকসুর বিধিতে উল্লেখ আছে।
জানা গেছে, সাকিবের বিরুদ্ধে জুয়াড়ির কাছ থেকে পাওয়া তথ্য গোপনের যে অভিযোগ পাওয়া গেছে সেটি অন্তত দু’বছর আগের ম্যাচ ঘিরে। ফলে, সেটি নিজ থেকে আকসুকে না জানানোয় তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে আইসিসি। আর সাকিব আল হাসান আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ২৫টি প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন। ফলে, আকসুর বিধিবিধান সাকিবের অজানা থাকার সুযোগ নেই।
ক’দিন আগেই খেলোয়াড়দের ধর্মঘটের বিষয়টি সুরাহা হতে না হতেই আলোচনা কেন্দ্রীভূত হয় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ঘিরে। এর মধ্যে, বিসিবির অনুমতি ছাড়াই গ্রামীণফোনের সাথে চুক্তি করে আগুনে ঘি ঢালেন তিনি। এ নিয়ে বিসিবি সভাপতি সরাসরিই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। সাকিবের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বোর্ড। ভারত সফরের আগে অনুশীলন ম্যাচেও দেখা যায়নি তাকে।
Leave a reply