জয়ের জন্য শেষ ২ ওভারে দরকার ছিল ২২ রান। শেষ ১০ বলে ২০। ব্যবধানটা নেহাতই কম ছিল না। তবে ১৯তম ওভারে মুশফিকুর রহিমের অতিমানবীয় ব্যাটিংয়ে সেটি মামুলি বানিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় তুলে নেন টাইগাররা। স্বাগতিকদের ৩ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই হারিয়ে দেন তারা।
ওই ওভারে ভারতীয় পেসার খলিল আহমেদের তৃতীয় বল হুক করে বাউন্ডারির বাইরে পাঠান মুশফিক। চতুর্থ বলে চিকি শটে চার আদায় করে নেন তিনি। পঞ্চম বলে কাট করে পয়েন্ট দিয়ে বল সীমানাছাড়া করেন মুশি। আর পরের বলে একই অঞ্চল দিয়ে চার মারেন মিস্টার ডিটেন্ডেবল।
এতে শেষ ওভারে দরকার হয় ৬ রান। শেষ ৪ বলে ১ রান। শিবম দুবের তৃতীয় বলে ছক্কা মেরে জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাতে ভারতের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম জয়ের স্বাদ নেয় বাংলাদেশ। এর আগে ৮ দেখায় প্রতিবারই জিতেছে টিম ইন্ডিয়া।
অবশ্য দুটি ক্লোজ ম্যাচ হয়। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর চরম ভুলে তীরে গিয়ে তরী ডুবে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। ভারতের কাছে মাত্র ২ রানে সেই হার পোড়াচ্ছিল দেশের কোটি ক্রিকেটপ্রেমীর। তাতে প্রলেপ দিলেন তারাই। মুশফিক ৬০ ও মাহমুদউল্লাহ ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর পরের হারটি আরও দগদগে। ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে জিততে জিততে হেরে যায় বাংলাদেশ। দীনেশ কার্তিকের অতিমানবীয় ইনিংসে শিরোপা হাতছাড়া হয় টাইগারদের। সব মিলিয়ে এ জয়ে শাপমোচন হলো সফরকারীদের।
Leave a reply