ভিন্ন আবহে আসছে ২০২০ সালের থ্যাংকস গিভিং ডে। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান এটি। ক্রিসমাসের আগে হয় পারিবারিক এ মিলনমেলা।
কিন্তু করোনা মহামারির ‘সেকেন্ড ওয়েভ’ আতঙ্কে সবকিছুই নিষ্প্রাণ-নিস্তেজ। যার ধাক্কা লেগেছে অনুষ্ঠানটির অন্যতম অনুষঙ্গ টার্কি বা বনমোরগ সরবরাহ খাতেও। খামারগুলোকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার পাশাপাশি মানতে হচ্ছে বাড়তি সতর্কতাও।
ইংল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ছোট্ট শহর কুকহামে ১৮ শতক থেকেই টার্কি বা বনমোরগের রমরমা ব্যবসা করে কপাস পরিবার। গোটা যুক্তরাজ্য জুড়েই তাদের ব্যবসা। কিন্তু এবার মহামারির ধাক্কা লেগেছে প্রায় সব খামারে। একে তো কোভিড নাইনটিন সংক্রমণ, তার ওপরে সরকার ঘোষিত দ্বিতীয়দফা লকডাউন-কঠোর বিধিনিষেধ। থ্যাংকস গিভিং ডে’র আগে টার্কি সরবরাহে তাই বিপত্তিতে খামারিরা।
কুকহামের ট্র্যাডিশনাল টার্কি খামারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টম কপাস জানান, করোনা মহামারির বিস্তাররোধে দ্বিতীয়দফা লকডাউন দিলো সরকার। তাই পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং সরবরাহে বেশ হিমশিম খাচ্ছি। বেড়েছে হোমডেলিভারি চাহিদাও। পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে- সে আতঙ্কে ক্রেতারা একাধিক হিমায়িত টার্কি কিনছেন। ক্রিসমাসে সবকিছু বন্ধ থাকলেও যেনো উৎসবের আনন্দে ভাটা না পড়ে।
শুধু ব্রিটিশ সরকারই নয়, শীত মৌসুমে মহামারি মোকাবেলায় তৎপর অন্য দেশও। ওয়াশিংটনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকেও থ্যংকস গিভিং ডে উপলক্ষে জারি করা হয়েছে সতর্কতা।
ওয়াশিংটনের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী লেসি ফেহরেনবাক জানান, থ্যাংকস গিভিংয়ের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য ভাঙা হচ্ছে এবার। কিন্তু আপনারা যদি ঘরেই উৎসবটি উদযাপন করেন সেটাই হবে স্মরণীয়। পারিবারিক আয়োজন রাখা হলেও করোনা শিষ্টাচার এবং সামাজিক দূরত্বের বিষয়গুলো নজরে রাখতে হবে।
প্রতিবছর নভেম্বর মাসের ৪র্থ বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাপী দিনটি উদযাপন করেন খ্রিস্ট ধর্মানুসারীরা। মূলত পরিবার-বন্ধুদের সাথে প্রিয় মুহূর্ত ভাগ করে নেয়াই উদ্দেশ্য। আর এর মাধ্যমেই শুরু হয় ক্রিসমাসের ক্ষণ গণনা।
Leave a reply