তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৪৯ রানের টার্গেট দিয়েছে উইন্ডিজ। সকালে টস হেরে ফিল্ডিং করতে নেমে বোলারদের ঝলকানিতে ১৪৮ রানেই থেমে যায় সিলভাদের ব্যাট।
২০১১ সালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাত্র ৬১ রানে অল আউট হয়েছিলো উইন্ডিস। সেই ঘটনার নতুন করে ঘটাতে পারেনি টাইগাররা তারপরও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টাইগারদের সামনে যে টার্গেট দিয়েছে উইন্ডিস সেটা অতিক্রম করা শুধুই সময়ের ব্যাপার।
মিরপুর শের-্ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে উইন্ডিজ ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দেবার কাজ শুরু করেন মোস্তাফিজুর রহমান। সুনীল অ্যামব্রিজকে ব্যক্তিগত ৬ রানেই প্যাভিলিয়নের পথ দেখান কাটার মাস্টার। তার সাথে তাল মিলিয়ে দলীয় ৩৬ ও ৩৭ রানে ওতিলে ও সিলভাকে কাবু করে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলেন মেহেদি মিরাজ।
এর পরেই মিরাজ ও মোস্তাফিজের সাথে যোগ দেন সাকিব আল হাসান। অতিথিদের ব্যাটিং শিবিরে আঘাত হেনে আন্দ্রে ম্যাকার্থিকে ফিরিয়ে দিয়ে প্রতিপক্ষকে কম রানে আটকে রাখার আভাস দেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। আর দলীয় ৪১ রানে মায়ার্স রান আউট হয়ে ফিরে গেলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতে নেয় টাইগাররা।
উইন্ডিজ যখন ৬৭ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের বোলিং ফাঁদে হাবুডুবু খাচ্ছে ঠিক তখনই আরও একবার সাকিবের ছোবলে মাঠ ছাড়েন প্রতিপক্ষের ক্যাপ্টেন জেসন মোহাম্মাদ।
থেমে থাকেননি গেল ম্যাচে তিন উইকেট নেয়া হাসান মাহামুদও কিছুটা প্রতিরোধ গড়তে চাওয়া বোনারকে ব্যক্তিগত ২০ রানে পরিষ্কার বোল্ট করে গুড বাই জানান এই পেসার। উইন্ডিজ পরিণত হয় ৭১ রানে ৭ উইকেটে।
কিছুটা সময় বিরতীতে থেকে আবারও মিরাজ ফিরে আসেন নিজের রূপে। এবার তিনি শিকার করেন রেমন রেফারকে। দলীয় ৮৮ রানে মিরাজের বলে লেগ বিফোর দ্যা উইকেট হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। দলীয় ১২০ রানে মোস্তাফিজের শিকার হয়ে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন আলজারি জোসেফ।
রোভম্যান পাওলের ব্যাটে ভর করে শেষ পর্যন্ত তিন অঙ্কের ঘরে রান তুলতে সক্ষম হয় উইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা। দলের পক্ষে সর্বচ্চো ৪১ রান করে মেহেদি মিরাজের শিকার হন এই ব্যাটসম্যান।
টাইগারদের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসান। চার উইকেট শিকার করেছেন আগের ম্যাচে ১ উইকেট পাওয়া মেহেদি মিরাজ। তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ নিয়েছেন ১টি উইকেট।
Leave a reply