উইন্ডিজ ও বাংলাদেশের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে আধিপত্য দেখিয়েছে স্পিনাররা। তবে পেস আক্রমণে দ্বিতীয় টেস্টে রাহিও চিনিয়েছে নিজেকে। এই সিরিজের সেরা পাঁচ বোলারের মধ্য তিনজনই বাংলাদেশের। তবে সিরিজে প্রতিপক্ষের ১৪ ব্যাটারকে ফেরত পাঠিয়ে দলের জয়ে সবচাইতে বড় অবদান রেখেছে উইন্ডিজের কর্নওয়েল।
শরীরের কারণে সিরিজের শুরু থেকেই চলছিলো তাকে নিয়ে আলোচনা। ১৪০ কোজি ওজনের এই স্পিনার নিজের ওজন ধরে রেখে আলোচনায় রয়েছেন এখনও। এই সিরিজে তার বলেই কাবু হয়েছে বাংলাদেশের ১৪ ব্যাটসম্যান। দুই টেস্ট মিলিয়ে ১৪০ কেজি ওজনের এই ক্রিকেটার বল করেছেন ১৩১.২ ওভার। প্রতি টেস্টে তিনি বল করেছেন ৬৫ ওভারের উপরে। যেকানে বলের সংখ্যা ৭৮৬ টির উপরে।
অন্যদিকে দ্বিতীয় সর্বচ্চো উইকেট শিকারি বাংলাদেশের তাইজুল ইসলাম। তিনি শিকার করেছেন ১২ উইকেট। দু্ই টেস্টের চার ইনিংসে তিনি বল করেছেন ১৪৫.৩ ওভার। তার মানে প্রতি টেস্টে তিনি করেছেন ৭২ ওভারেরও বেশি। যেখানে বলের সংখ্যা ৮৭২ টি।
দলে স্পিনার হিসেবে খেললেও ব্যাট হাতে পারফর্ম করেছে দুর্দান্ত। ১ সেঞ্চুরি ও এক ফিফটিতে ব্যাট হাতে তিনি করেছিলেন ১৯৪ রান। আর বল হাতে তার ঝুলিতে ভরেছেন ১০ উইকেট। সিরিজের সেরা তিন বোলারের মধ্যে তিনি একজন। আর অলরাউন্ডার হিসেবে এই সিরিজে তিনিই সেরা। দুই টেস্ট মিলিয়ে মিরাজ করেছেন মোট ১০০ ওভার। যেখানে প্রতি ম্যাচে করেছেন ৫০ ওভার করে। ১০০ ওভারে বল করেছেন ৬০০টি।
বল হাতে সাফল্য পেয়েছেন উইন্ডিজের আরেক স্পিনার জোমেল ওয়ারিকেন তিনি বল হাতে করেছেন ৯৫.৫ ওভার। প্রতি টেস্টে তিনি করেছেন ৪৭ দশমিক ৭৫, ধরা যায় প্রায় ৪৮ ওভার। দুই টেস্ট মিলিয়ে তিনি বল করেছেন ৫৭৫টি। মিরাজের সমান প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট শিকার করেছেন এই বোলার।
এই সিরিজের পাচঁ নম্বর বোলার রাহি। আবু জায়েদ রাহি বল হাতে শিকার করেছেন ৬ উইকেট। দ্বিতীয় টেস্টে সৃযোগ পাওয়া এই পেসার করেছেন ৩৮ ওভার। যেকানে বলের সংখ্যা ছিলো ২২৮ টি।
Leave a reply