রাজশাহী ব্যুরো:
মনে পড়ে কমলাবতীর কথা। সেই আহত কমলাবতী যার জীবন নিয়ে তৈরি হয়েছিল সংশয়।সেই কমলাবতী এখন কমলা রঙের পাত্রে বসে করে পানি পান করছে। যিনি দেখভাল করছেন তিনি জানিয়েছেন, এখন অনেকটাই সুস্থ কমলাবতী।
কমলাবতী মূলত ‘রেড কোরাল কুকরি’ নামের বিরল প্রজাতির একটি সাপ। গত ৮ ফেব্রুয়ারি পঞ্চগড় থেকে সাপটি উদ্ধার করে স্থানীয়রা। উদ্ধারের আগে আঘাত পেয়ে সাপটির নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে গিয়েছিল। জীবন বাঁচাতে তিনদিন পরে চিকিৎসার জন্য সাপটিকে নিয়ে আসা হয়েছিল রাজশাহী স্নেক রেসকিউ অ্যান্ড কনজারভেশন সেন্টারে। এখন সেখানেই সাপটি চিকিৎসাধীন।
রাজশাহী ভেনম রিসার্চ সেন্টারের প্রশিক্ষক বোরহান বিশ্বাস রমন জানান, সাপটি বাঁচবে কি না সেটি নিয়ে সংশয় ছিলো। এখন সে সংশয় কেটে গেছে। ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে। কিছুটা ক্ষত রয়েছে তবে আরেকবার খোলস পরিবর্তন করলে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবে। তখন তার শরীরে আর কোনো আঘাতের দাগ থাকবে না।
তিনি আরও জানান, সিদ্ধান্ত ছিলো সুস্থ হলে সাপটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভেনম রিসার্চ সেন্টারে পাঠানো হবে। এখন সে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়েছে। সুস্থ হলে সাপটি পঞ্চগড়ে ছেড়ে দেয়া হবে।
বোরহান বিশ্বাস রমন বলেন, আমাদের দেশে প্রথমবারের মত এই প্রজাতিটির দেখা মিলেছে। সারা বিশ্বে হাতে গোনা কয়েকবার এই সাপ দেখা গেছে। ‘রেড কোরাল কুকরি’ প্রজাতির এই সাপের বৈজ্ঞানিক নাম ওলিগোডন খেরিনসিস।
ইউএইচ/
Leave a reply