চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে রাতে মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার সিটি ও চেলসি

|

প্রথম বার শিরোপা ঘরে তোলা আর ২০১১ সালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনা এই দুই ভিন্ন সমীকরণে মুখোমুখি ম্যানচেস্টার সিটি ও চেলসি। অল ইংলিশ ফাইনালে আজ রাতে লড়বে দুই জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটি ও চেলসি। পর্তুগালের এস্তাদিও দো দ্রাগাওয়েতে রাত ১টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

ইরোপের চ্যাম্পিয়নদের চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভিন্ন এক লড়াইয়ের অপেক্ষায় ফুটবল প্রেমীরা। আরব ধনকুবের মনসুর আল নাহিয়ানের ম্যানচেস্টার সিটির প্রতিপক্ষ রুশ ধনকুবের রোমান আব্রাহামোভিচের মালিকানাধীন ক্লাব চেলসি। সিটি গ্রুপের বিপুল অর্থায়নে ইউরোপে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ অর্জনের ১ ধাপ দূলে ম্যানচেস্টার সিটি। আর ১১ বছরের খরা কাটাবার সুযোগ চেলসির সামনে।

এদিকে প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি সুসময়ের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এতটা ভালো সময় পর করছে যে সেরা একাদশ সাজাতে গিয়ে অম্ল-মধুর সমস্যায় পড়েছেন গায়ার্দিওলা। আগুয়েরো, হেসুস, স্টার্লিংয়ের মতো তারকাদের মধ্যেও কাউকে হয়তো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে শুরুর একাদশে খেলাতে পারবেন না ম্যানচেস্টার সিটি কোচ।

সম্প্রতি চেলসির বিপক্ষে হালেও এই লড়াইয়ে ফরোয়র্ডে হেসুস-আগুয়েরো থাকরেও মাঝমাঠের একটু ওপরে। সেন্ট্রাল রোলে এক জন মিডফিল্ডারকে রেখে ফলস নাইন’ পদ্ধতি অবলম্বনের কৌশল গার্দিওলার। কোচ হিসেবে তৃতীয় চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি জিততে চান তিনি।

পেপ গার্দিওলা বলেন, আমরা একসঙ্গে লড়েছি এবং ফাইনালে এসেছি। অনেক মানুষ মনে করে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠা সহজ। তবে আমরা ফাইনালে ওঠার পর অনেকে বুঝতে পেরেছে শেষ চার-পাঁচ বছরে আমরা কী করেছি। প্রতিদিন আমার ছেলেরা পরিশ্রম করে আসছে এবং এটা অবিশ্বাস্য।

এখন পর্যন্ত দু দলের মুখোমুখি ১৫৩ দেখায় সিটিকে ৬১ বার হারিয়েছে চেলসি। বিপরীতে সিটির কাছে হেরেছে ৫৪ বার। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দেখায় সব শেষ ৮ মে সিটিজেনদের ২-১ গোলে হারাবার সুখোস্মৃতি রয়েছে চেলসির।

তবে এবার কাজটা সহজ হবে না মানছেন চেলসি কোচ টুখেলও। নিজেদের আন্ডারডগ হিসেবে ধরে নিয়ে শক্তিশালী সিটির বিপক্ষে সঙ্গে দূরত্ব কমানোর সুযোগ নিতে মুখিয় টুখেল। তিনি বলেন, আমি অস্বীকার করব না, ম্যানসিটি ও বায়ার্ন গেল দুই মৌসুমে ইউরোপে একটা বেঞ্চমার্ক স্থাপন করেছে। আমরা সেই পার্থক্য ঘোচানোর চেষ্টাতেই নামব। সবচেয়ে ইতিবাচক বিষয় হচ্ছে ফুটবলে পার্থক্য ঘোচানোর জন্য ৯০ মিনিটই যথেষ্ট।

এই ম্যাচে সিটিজেনদের তুরুপের তাস ২১ করা ফিল ফোডেন, কেভিন ডি ব্রুইনে অপ্রতিরোধ্য। তবে ৯ বছর পর ফাইনালে উঠে শিরোপার জন্য মরিয়া চেলসিও।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply