যমুনা টেলিভিশনে সংবাদ প্রকাশের পর আখাউড়া বন্দরে করোনা বুথ স্থাপন

|

আখাউড়া প্রতিনিধি:

আখাউড়া সীমান্ত পথে ভারত ফেরত যাত্রীদের করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের কাজে ভয়ঙ্কর অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছিল। স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনে অরক্ষিত পুকুর ঘাটে খোলা জায়গায় টেকনোলজিস্ট উদাস ভঙ্গিতে বসে থাকে, পাশে যাত্রী নিজেই কটনবাড দিয়ে নিজের নাক ও মুখ থেকে কোভিড-১৯ নমুনা সংগ্রহ করতেন। দু’জনের মাঝখানে থাকত না কোন নিরাপদ দূরত্ব। এমনকি টেকনোলজিস্ট সাধারণ মাস্ক আর গ্লাভস ছাড়া কোনো সুরক্ষা সরঞ্জামও পরিধান করত না।
গত ২৬ এপ্রিল থেকে যাত্রীদের কোভিড-১৯ নমুনা সংগ্রহ করে যাচ্ছেন ওই টেকনোলজিস্ট। কিন্তু দিনের পর দিন পার হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহ প্রশাসন ছিল নীরব ভূমিকায়।

শনিবার দিনব্যাপী যমুনা টেলিভিশনে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রচার করলে নড়েচড়ে বসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

রোববার দুপুর পৌনে ১টায় আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর এ আলম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূঁইয়া, আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাশেদুর রহমান এবং ওসি মিজানুর রহমান ছুটে যান আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে। এসময় তারা ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের হেলথ ডেস্কে ভারত ফেরত যাত্রীদের কোভিড-১৯ নমুনা নেয়ার জন্য একটি বুথ উদ্বোধন করেন।

অপরদিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করেন। কর্তব্যরতদের সব ধরনের পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্টসহ টেকনোলজিস্টকে সুরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ নিশ্চিত করে।

যদিও আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. রাশেদুর রহমান নিজের দোষটি টেকনোলজিস্টের ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট পিপিই টেকনোলজিস্ট পরিধান করেননি। তাছাড়া তীব্র গরমে টেকনোলজিস্ট ওই পুকুর ঘাটে স্যাম্পল কালেকশন করছিল। তবে আজকের (৬জুন) পর থেকে সব ধরণের সাপোর্ট দিয়ে হেলথ ডেস্কের বুথেই কোভিড-১৯ নমুনার বা করোনার স্যাম্পল নেয়ার কার্যক্রমের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর এ আলম যমুনা টেলিভিশনকে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সীমান্তপথ দিয়ে ২৬ এপ্রিল থেকে শনিবার পর্যন্ত ১হাজার ৪৩৬জন পাসপোর্টধারী যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আগতদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আখাউড়া, বিজয়নগর উপজেলার ৯টি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ১৪ দিন পর্যন্ত অবস্থান করতে হয়েছে। অপরদিকে ওইসব কোয়ারেন্টাইনে যাত্রীর স্থান সংকুলান না হওয়ায় কুমিল্লাতেও ভারত ফেরত পাসপোর্টধারী যাত্রীদেরকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যথাযথ নিয়ম মেনে যারা কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছে তাদেরকে অবমুক্ত করা হয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply