১৮ জুন থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। কিন্তু ভারত-নিউজিল্যান্ডের এই মহারণে বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি। তাই এই ম্যাচের প্লেয়িং কন্ডিশনে বৃষ্টিকে মাথায় রাখতে হয়েছে আইসিসির । এছাড়াও বেশ কয়েকটি নিয়মের জায়গায় এসেছে পরিবর্তন। এক নজরে দেখে নেয়া যাক নিয়মের সেই পরিবর্তনগুলো।
প্রথমবারের মত টেস্ট চ্যাম্পিয়ন হিসাবে নিজের নাম লেখাতে মরিয়া ভারত এবং নিউজিল্যান্ড। খেলোয়াড়রা যেমন প্রস্তুতি নিচ্ছেন সেরা পারফরম্যান্সের, তেমনি আবহাওয়াও যেন প্রস্তুত বাগড়া দিতে। পুর্বাভাস বলছে ১৮ থেকে ২২ জুন, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ ফাইনাল ম্যাচের প্রত্যেক দিনই বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই পরিস্থিতি আমলে নিয়ে আইসিসিও একাধিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে এই টেস্টের প্লেয়িং কন্ডিশনে।
প্রথমটি রিজার্ভ ডে সিস্টেম। যদি পাঁচদিন মিলিয়ে ৯০ ওভারের মত খেলা বৃষ্টিতে ভেসে যায় বা বৃষ্টির কারণে সব দিন মিলিয়ে ৬ ঘন্টার বেশি সময় নষ্ট হয়, তাহলে পঞ্চম দিনের শেষ ১ ঘণ্টায় আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত নিবেন যে খেলা রিজার্ভ ডে তে গড়াবে না কিনা।
ফলো অনের নিয়মেও আছে পরিবর্তন।সাধারনত ৫ দিনের ম্যাচে ২০০ রানের লিড থাকলেই বিপক্ষ টিমকে ফলো অন করানো যায়। কিন্তু এই টেস্টে কোন কারণে পাঁচ দিনের খেলায় প্রথম ও দ্বিতীয় দিন খেলা শুরু না হলে তিন বা চার দিনের ম্যাচের মত ১৫০ রানের লিড থাকলেই বিপক্ষ দলকে ফলো অনে আনা যাবে।
এত দিন অন ফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব ছিলো শর্ট রানের সিদ্ধান্ত নেয়া। কিন্তু এই টেস্টে শর্ট রানের সিদ্ধান্ত দেবেন থার্ড আম্পায়ার।
ডিআরএস নেয়ার আগে নেয়া যাবে আম্পায়ারের পরামর্শ। অর্থাৎ, ফিল্ডার কিংবা ব্যাটসম্যান ডিআরএস নেয়ার আগে আম্পায়ারের সাথে পরামর্শ করে নিতে পারবেন ।
পূর্বে এলবিডব্লিউয়ের নিয়মে বলের পঞ্চাশ শতাংশ উইকেট বেলে লাগলে আউট দেয়া হতো। কিন্তু এবারের নিয়মে হক আইতে বলের কোন অংশ উইকেটের কোন অংশকে ছুঁয়ে গেলেই আউট দেয়া হবে। সেক্ষেত্রে ব্যাটসম্যানদের উপর একটু চাপ বাড়বে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
এ ছাড়াও ম্যাচের বল নিয়েও বাড়তি মাথা ঘামানো লাগতে পারে দু’দলকেই। কারণ ভারত তাদের হোম টেস্ট সিরিজে এসজি বল ব্যবহার করে। এদিকে নিউজিল্যান্ড তাদের হোম টেস্ট সিরিজে ব্যবহার করে কোকাবুরা বল। কিন্তু টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে খেলা হবে গ্রেড ওয়ানের ডিউক বলে। যা দিয়ে খেলতে বেশ বেগ পেতে হতে পারে দু’দলকেই।
Leave a reply