শঙ্কার মেঘ কেটে অবশেষে আজ আনুষ্ঠানিক পর্দা উঠছে টোকিও অলিম্পিক ২০২০ এর। টোকিও অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বিকাল পাঁচটায় উদ্বোধন করবেন সম্রাট নারুহিতো। এই অলিম্পিকে অংশ নিয়েছে ছয় বাংলাদেশি অ্যাথলেটও। তবে দর্শকবিহীন এই আসরে অংশ নিচ্ছে না উত্তর কোরিয়া ও গিনি বিসাউ।
সূর্যোদয়ের দেশে ফিরেছে গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। করোনা সংকটের মাঝেই শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে অংশ নেবেন ১১ হাজারেরও বেশি অ্যাথলেট। ৩৩ ক্রীড়া ইভেন্টে ৫১ ডিসিপ্লিনে লড়াই হবে ৩৩৯ পদকের।
করোনার কারণে এক বছর পিছিয়ে অবশেষে শুরু হতে যাওয়া টোকিও অলিম্পিকে এখনও মেলেনি স্বস্তি। অলিম্পিক ভিলেজে হানা দিয়েছে করোনা। আনুষ্ঠানিক পর্দা ওঠার আগেই আক্রান্ত প্রায় ৮০ জন অ্যাথলেট, কর্মকর্তা ও কোচ। পরিস্থিতি সামাল দিতে অলিম্পিক স্থগিতের চিন্তাও ছিল আয়োজক কমিটির।
কেবল দুদিন আগেই অলিম্পিক প্রধান তোসিরো মুতো বলেছিলেন, আমরা অনুমান করতে পারছি না করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। আমরা তাই পরিস্থিতি বিচার করে আবারও আলোচনা যেতে পারি।
অলিম্পিকের ৩২তম আসর নিয়ে জল ঘোলা কম হয়নি। বিতর্কের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন আয়োজক কমিটির সাবেক প্রধান মোরি। সবশেষ বরখাস্ত হলেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান কেনতারো কোবায়াশি।
তবে সব শঙ্কা দূর করে আজ জ্বলবে গেমসের মশাল। টোকিও অলিম্পিক স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন জাপান সম্রাট নারুহিতো।
আইওসির প্রেসিডেন্ট থমাস বাক বলেন, এখন সময় উৎসবের, আনন্দের। অবশেষে অপেক্ষার সমাপ্তি টেনে মাঠে নামছেন অ্যাথলেটরা। আশা করি প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করবেন তারা। তবে এটা ঠিক, আসর মাঠে গড়ানোর কাজটি খুব কঠিন ছিল এবার।
অলিম্পিকের এবারের আসরে যোগ হয়েছে নতুন চারটি খেলা ও ৩৪টি ইভেন্ট। ১৩ বছর পর ফিরেছে সফটবল ও বেসবল। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ফুটবল ও সফটবলের লড়াই।
আসরে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছেন ৬ অ্যাথলেট। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশের পতাকা বহন করবেন সাঁতারু আরিফুল ইসলাম।
করোনা সংকটের মাঝে শুরু হোক অলিম্পিক, এমনটা চাননি প্রায় ৮০ শতাংশ জাপানিজ। গেমসের প্রতিবাদে নিয়মিত বিক্ষোভ করে আসছেন দেশটির নাগরিকরা।
জাপানের সম্রাট নারুহিতো সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, করোনা প্রতিরোধে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থাই নেয়া হয়েছে। আশা করি সুন্দর শান্ত মন নিয়ে লড়বেন অ্যাথলেটরা। তবে গ্রীষ্মের তাপদাহ নিয়েও সচেতন থাকতে হবে সবাইকে।
সব ঠিক থাকলে আগামী ৮ আগস্ট পর্দা নামবে আলোচিত এই আসরের।
Leave a reply