যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র সহিংসতা কমাতে এবার মানসিক স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করার তাগিদ দিলেন দেশটির মনোবিদরা। তাদের দাবি, হতাশা থেকে সহিংস হয়ে উঠছে তরুণরা, যা মোকাবেলায় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের চেয়েও জরুরি মানসিক হাসপাতাল স্থাপন।
ফ্লোরিডার স্কুলে গুলিবর্ষণে ১৭ শিক্ষার্থীর মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসনের ভিত। কিভাবে অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা নিয়ে প্রতিনিয়তই চলছে পর্যালোচনা। সে তালিকায় সবশেষ সংযোজন, এই মানসিক স্বাস্থ্য ইস্যু। মনোচিকিৎসকদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রে মানসিক হাসপাতালের সংখ্যা অপ্রতুল। যা আছে তাতেও অপর্যাপ্ত বেডসংখ্যার ফলে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হয় তাদের। ফলে হতাশাগ্রস্ত মানুষ জড়িয়ে পড়ছে সহিংসতায়।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিদ জেফরি লিবারম্যানের মতে অস্ত্র আইন জরুরি, কিন্তু এটিই সম্পূর্ণ সমাধান নয়। কারণ হামলাকারীদের ৫০ শতাংশই মানসিক রোগী, যা খুবই উদ্বেগজনক। আইন করে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা যাবে, কিন্তু ধারালো অস্ত্রের ব্যবহার ঠেকাবেন কিভাবে? মানসিক রোগীদের সেবা দেয়ার পরিধি বাড়ানোর বিকল্প নেই।
তাদের দাবির সাথে একমত মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “মানসিক হাসপাতালের সংখ্যা বাড়ানোর ব্যাপারে আমি একমত। এ ব্যাপারে বিশেষ তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ করা হবে। অতীতে এ ধরণের অনেক হাসপাতাল ছিলো, ফলে চিকিৎসা ব্যবস্থার ঘাটতি ছিলো না। বর্তমান পরিস্থিতিতে এ সংকট কাটিয়ে ওঠাটা জরুরি।”
অবশ্য হোয়াইট হাউজের প্রতি ভরসা নেই বিরোধীদের। অস্ত্র আইন প্রণয়নের দাবিতে কংগ্রেসে নতুন বিতর্ক শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাটরা। সিনেটর চাক শুমার বলেন, একটি গঠনমূলক বিতর্ক প্রয়োজন; অস্ত্র আইন নিয়ে যেখানে থাকবে না কোন ফাঁকফোকর। দেশের অভ্যন্তরীণ স্বার্থেই বিষয়টি জরুরি। কেবল অস্ত্রের ক্রেতার অতীত ইতিহাস যাচাই যথেষ্ট নয়।
এরই মধ্যে খুলে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে হামলার শিকার ফ্লোরিডার স্টোনম্যান ডগলাস হাই স্কুল। তবে নতুন করে হামলা এড়াতে গণমাধ্যমের কাছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন গভর্নর রিক স্কট।
Leave a reply