যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যে হয়, কিউইদের কপালে ঘটলো তাই!

|

যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যে হয়। নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ ক্রিকেটীয় সম্পর্ক যেন এই প্রবাদেরই এক ব্যবহারিক রূপ।

বিশ্বব্যাপী করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর বিধিনিষেধের বিষয়ে বরাবরই সচেতন ছিল নিউজিল্যান্ড। করোনা নিয়ে তারা কতটা সচেতন তা বুঝা যায় গত ছয় মাসে মাত্র এক জন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর দেশটিতে লেভেল-৪ সতর্কতা জারি করা দেখে। এমনকি চলতি বছরের মার্চে নিউজিল্যান্ড সফরের সময় করোনার জন্য কঠিন বাধানিষেধের সম্মুখীন হতে হয় টাইগারদের। থাকতে হয়েছিল ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে। ২৪শে ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ড পৌঁছালেও ১১ই মার্চ প্রথম অনুশীলনের সুযোগ পায় বাংলাদেশ দল।

প্রায় ৬ মাস পর এবার বাংলাদেশ সফরে এসেছে কিউরা। মানা হচ্ছে কঠোর বিধিনিষেধ। কিন্তু বিধিনিষেধ মেনে কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরও করোনা আক্রান্ত হয়েছে এক কিউই ক্রিকেটার। এ যেন যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যে হয়।

করোনা পজেটিভ হয়েছেন ইংল্যান্ড থেকে ‘দ্যা হান্ড্রেড’ খেলে আসা কিউই ক্রিকেটার ফিন অ্যালেন। ইংল্যান্ডে খেলার মাঠে দর্শক উন্মুক্ত করে দেয়ার পর থেকে ক্রীড়াবিদদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাটাও দিনদিন বাড়ছে। অবশ্য বিসিবির তত্ত্বাবধানে বর্তমানে সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসাই দেয়া হচ্ছে অ্যালেনকে, ব্ল্যাকক্যাপসরাও খুশি বিসিবির পেশাদারিত্বে।

এরআগে জঙ্গি হামলার ভয় এবং অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশের কাছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দাবি করতো নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল। বিসিবি’র তরফ থেকেও দেয়া হতো সর্বোচ্চ নিরাপত্তা। কিন্তু উল্টো বাংলাদেশকেই শান্তির দেশ নিউজিল্যান্ডে গিয়ে পড়তে হয়েছিল ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার মুখে। ২০১৯ এর ১৫ই মার্চ জুম’আর নামাজ আদায় করতে যাওয়ার সময় অল্পের জন্য প্রাণে বেচে যান তামিম-মুশফিকরা।

আগামী ১ সেপ্টেম্বর টাইগারদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে আরও দুইবার কোভিড টেস্টের মুখোমুখি হতে হবে কিউইদের। সেই ফলাফল নেতিবাচক আসুক, মাঠের লড়াইটা ইতিবাচক হোক, সেটাই প্রত্যাশা ক্রিকেট ভক্তদের।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply