হাতিয়ার মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে উপস্থিতি নেমেছে অর্ধেকে। করোনা মহামারিতে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় নোয়াখালীর এই চরাঞ্চলটির অনেক ছাত্রীরই বাল্যবিয়ে হয়ে গেছে। এছাড়া অনেক শিক্ষার্থীই পড়ালেখা ছেড়ে গার্মেন্টস, ওয়ার্কশপ, মাছ ধরাসহ নানা কাজে যুক্ত হয়েছে।
হাতিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও বেশ ভালো। তবে মাধ্যমিক পর্যায়ের চিত্র হতাশাজনক। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নেমেছে অর্ধেকে। মাধ্যমিকের এক স্কুলশিক্ষার্থী জানালেন, করোনার ছুটিতে তার অনেক সহপাঠীরই বিয়ে হয়ে গেছে।
শিক্ষকরাও জানালেন একইরকম তথ্য, হাতিয়ার একটি স্কুলের শিক্ষক জানালেন, তাদের স্কুলে ৫০০র বেশি শিক্ষার্থী ছিল, করোনায় অনেকেরই বিয়ে হয়ে গেছে বা অন্যান্য কাজে যুক্ত হয়ে পড়েছে। তাই স্কুলটিতে উপস্থিতি কমে গেছে আশঙ্কাজনক হারে।
এছাড়া সংসারের খরচ যোগাতে অনেকে শিক্ষার্থী রিকশা চালানো, ওয়ার্কশপে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ, পোশাক কারখানা কিংবা মাছ ধরার পেশায় জড়িয়েছে। সপ্তম শ্রেণির এক শিশু জানালো, সংসার চালোনোর জন্য এখন আমড়া বিক্রির মতো পেশায় নামতে হয়েছে তাকে।
চরাঞ্চলের স্কুলগুলোতে করোনাকালীন অনলাইন ক্লাস না হওয়ায় পড়ালেখায়ও পিছিয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। অনেকেই জানালেন, দীর্ঘদিন ক্লাসের সাথে যোগাযোগ না থাকায় এখন পড়াশোনার অনেক কিছুই বুঝতে পারছেন না তারা।
তবে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলমুখী করতে নানা পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। জানালেন, বিয়ে হয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের শ্বশুর বাড়িতে গিয়েও তাদের স্কুলে আনার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তারা।
নোয়াখালীর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নুর উদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর জানালেন, প্রচেষ্টার সবটুকুই করেছেন তারা। তবে ঘরে ঘরে গিয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করার সুযোগ তাদের নেই বলেও জানান তিনি।
Leave a reply