এটা এমন একটা সময়, যা আসবে বলে কেউ ভাবেনি আগে। ১৪৯ ম্যাচ, ১২০ গোল, ৪১ অ্যাসিস্ট ও ৪টি ফাইনাল জয়ের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফিরছেন লিওনেল মেসি। কিন্তু ১৮তম বারের মতো ইউরোপিয়ান মর্যাদার লড়াইয়ে নামতে যাচ্ছেন তিনি বার্সেলোনার হয়ে নয়, পিএসজির জার্সিতে। ম্যাচের শুরুতে উয়েফার বিখ্যাত সুরটা অভিন্নই থাকবে, কিন্তু বদলে গেছে বাকি সব।
আজ বুধবার দিবাগত রাতে বেলজিয়ামে পিএসজির একাদশে প্রথমবারের মতো থাকছেন আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রো মেসি। কোচ মরিসিও পচেত্তিনোও ইঙ্গিত দিয়েছেন, শুরুর একাদশে থাকতে পারেন ক্লাবটির স্বপ্নত্রয়ী মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে।
ক্লাব ব্রাগের বিরুদ্ধে পচেত্তিনোর দলের জন্যও ম্যাচটির অন্যতম গুরুত্ব হচ্ছে, ৬ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি থাকছেন শুরু থেকেই। আন্তর্জাতিক বিরতির আগে পিএসজির জার্সিতে প্রথমবারের মতো নেমেছিলেন মেসি, রাইমসের বিরুদ্ধে ম্যাচে। টেলিভিশন সম্প্রচারে সেই ম্যাচও সৃষ্টি করেছিল রেকর্ড।
ক্লাব ফুটবলের সাথে মেসির দুর্দান্ত সখ্যতার গল্প আবার নতুন করে শুরু করার সুযোগও ফিরেছে এই আর্জেন্টাইনের সামনে। মেসির ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ও আইকনিক কিছু মুহূর্তও এসেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। ২০০৯ সালের ফাইনালে ম্যান ইউর বিপক্ষে হেডে লাফিয়ে করা গোল, ২০১১ এর ফাইনালে ম্যান ইউর সাথেই আবার দূরপাল্লার বুলেট শটে রেড ডেভিলদের বোবা বানিয়ে দেয়া, রিয়াল মাদ্রিদের সাথে সেমিফাইনালে চার ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে করা গোলের সাথে মিলান, টটেনহাম, ম্যান সিটির বিরুদ্ধে দারুণ সব পারফর্মেন্স তো আছেই। আবার ২০১৫ সালের পর থেকে যে ট্রফিটা আর তুলে ধরা হয়নি এই ফুটবল জাদুকরের, সেটাও এই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। গত অর্ধযুগ ধরেই মেসি ও বার্সার জন্য স্বপ্নভঙ্গের নামান্তর হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। নতুন ক্লাবে মেসি কি পারবেন ব্যর্থতার এই ধারায় ছেদ ঘটাতে?
তবে মেসিকে বেশ আত্মবিশ্বাসীই মনে হচ্ছে। গার্দিওলার বার্সেলোনার পর সম্ভবত এবারই সেরা স্কোয়াড পেলেন মেসি। আর ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম ভয়ঙ্কর আক্রমণভাগও হয়তো দেখাতে যাচ্ছেন পচেত্তিনো। এর সাথে বলা ভালো, পিএসজিও প্রথমবারের মতো ইউরোপ সেরার আসর শুরু করতে যাচ্ছে ফেভারিট হিসেবে। কেবল মেসিই নয়, দলের সাথে যুক্ত হয়েছেন সার্জিও রামোস, জিয়ানলুইজি ডোনারামা, জর্জিনিও উইনাল্ডাম ও আশরাফ হাকিমি। এই নামগুলোর যুক্ততা পিএসজির প্রতি বাড়াতে পারে প্রতিপক্ষের সমীহ।
/এম ই
Leave a reply