গার্মেন্টস কারখানর উচ্ছিষ্ট ঝুট কাপড়ের তৈরি পোশাকে শিল্পে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে পাবনরার ৩০ হাজার শ্রমশক্তি। এমনকি সম্ভাবনাময় এই শিল্পে কাজ করার জন্য অনেকেই রাজধানীর চাকুরি ছেড়ে নিজ জেলায় ফিরে যাচ্ছেন। ক্রমাগত চাহিদা বাড়ায় দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে এসব পোশাক রফতানি হচ্ছে বিদেশে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেলে পরিত্যাক্ত কাপড়ের এ শিল্প অর্থনীতিতে সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে।
ঢাকা, চট্রগাম ও গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের তৈরি পোশাক কারখানায় প্রতিদিন ছেটে ফেলে হয় অপ্রয়োজনীয় কাপড়। ঝুট কাপড় হিসেবে পরিচিত এসব ছাঁট কাপড়ই সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে পাবনার হোসিয়ারী শিল্পে। গড়ে উঠেছে প্রায় চারশো কারখানা।
বছরে এসব কারখানায় উৎপাদন হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ কোটি পিস গেঞ্জি। যার বাজার মূল্য প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। স্থানীয়ভাবে চাহিদা মিটিয়ে মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে এসব গেঞ্জি রফতানি হচ্ছে। সরকারি পৃষ্টপোষকতায় পাবনায় ঝুটপল্ল গড়ে তোলার দাবি তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। এতে আর্থ সামাজিক পরিস্থিতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে পাবনা হোসিয়ারী ম্যানুফাকচারার্স গ্রুপের সভাপতি মনির হোসেন পপি।
এই ঝুট কাপড় ব্যবহার করে গড়ে ওঠা শিল্প আরও বিকশিত হতে পারে বলে মনের করেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তবে এর জন্য প্রয়োজন সরকারি সহযোগিতা।
Leave a reply