টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টস জিতে বোলিং নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। এবং নতুন বল তুলে দিয়েছেন পার্ট টাইম স্পিনার এইডেন মার্করামের হাতে। এ ব্যাপারে ভ্রু কুঁচকে তাকাতে পারেন অনেকেই। কারণ, যে দেশের হয়ে নতুন বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন অ্যালান ডোনাল্ড, ডেল স্টেইন, মরনে মরকেলরা; সেখানে পার্ট টাইমার দিয়ে বোলিং আক্রমণ শুরু করা তো রক্ষণাত্মক পথে হাঁটারই নামান্তর।
উইকেট টেকার হিসেবে ফাস্ট বোলারদের সবচেয়ে আরাধ্য হলো নতুন বল। বলের দু’পাশই থাকে ঝকঝকে এবং সুইং করানো যায় বেশি। বল শক্ত থাকায় উইকেটে পিচ করার পর পেসও হয় যায় না খর্ব। তাছাড়া গত পরশুই তো ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ক্রিকেটপ্রেমীরা দেখতে পেলো, একজন ফাস্ট বোলার যদি মূল কাজগুলোকেই ঠিকঠাকভাবে করতে পারে, তবে অনেক বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করলেও সাফল্য পাওয়া যায়। কোনো স্লোয়ার বা নাকল বল করা ছাড়াই প্রথম তিন ওভারের স্পেলে ভারতের টপ অর্ডারের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন শাহিন আফ্রিদি। আর দক্ষিণ আফ্রিকা দলে আছেন সময়ের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার আইনরিখ নকিয়া এবং কাগিসো রাবাদা। তবুও এইডেন মার্করামের মতো পার্ট টাইমার বোলারকে এনে উইকেট টেকারদের হাতে অপেক্ষাকৃত পুরনো বল তুলে দেয়ার সিদ্ধান্তকে হয়তো আতশ কাঁচের নিচে ফেললেও ফেলতে পারেন ক্রিকেট বোদ্ধারা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার বেশ স্বাচ্ছন্দেই পার করেছেন নতুন বলের হুমকিকে। ৭ ওভার শেষে লেন্ডল সিমন্স এবং এভিন লুইস রয়ে গেছেন অবিচ্ছিন্ন। স্কোরবোর্ডে জমা পড়েছে ৪৬ রান। নকিয়া এসেছেন ফাস্ট চেঞ্জ বোলার হিসেবে। রাবাদা যদিও মার্করামের সাথেই শেয়ার করেছেন নতুন বল, তবে নিয়মিত ঘণ্টায় ১৪৫+ কিলোমিটার গতিতে বল করা নকিয়াকে পরবর্তীতে আক্রমণে আনার জন্য রেখে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হয়তো খুব একটা সাধুবাদ পাবেন না।
Leave a reply