নবম ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে এসে ৯ বলে করেছেন ১৯ রান। আর তাতেই বাংলাদেশের ব্যাটারদের প্রতি নীরব এক কটাক্ষ প্রদর্শনও যেন হয়ে গেল! আদিল রশিদকে মারা নাসুম আহমেদের ২ ছয় আর ১ চারেই যে ২০ ওভার শেষে ১২৪ রান সংগ্রহ করতে পেরেছে বাংলাদেশ। এটা চ্যালেঞ্জিং বা ফাইটিং কোনো স্কোর না; বরং লজ্জা থেকে বাঁচানো এক আপাত ভদ্রস্থ স্কোর। নাসুম ছাড়া পুরো ইনিংসে নেই আর কোনো ওভার বাউন্ডারি। আর বাউন্ডারির সংখ্যাও অতিক্রম করেনি দুই অঙ্ক। পুরো ইনিংস জুড়ে বাংলাদেশের ব্যাটারদের সংগ্রামের তীব্রতা প্রকাশে এই পরিসংখ্যানই যথেষ্ট।
এর আগে, পাওয়ার প্লেতেই দুর্দশায় ডুবে যায় টাইগাররা। ৬ ওভারের মধ্যেই দুই ওপেনার লিটন-নাইম এবং তিনে নামা সাকিব আল হাসান ফিরে যান সাজঘরে। মাত্রাতিরিক্ত চাপের কারণেই কিনা, বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার কখনোই ইংলিশদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই পারেনি সুস্থির হয়ে। তিন টপ অর্ডার ব্যাটারের পর লিয়াম লিভিংস্টোনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। আর রানিং বিটুইন দ্য উইকেটে চিরাচরিত ভুল বোঝাবুঝির প্রধান কুশিলব হয়ে আফিফের আউট হওয়ার দায় এড়াতে পারেন না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নই দেখেছিল টাইগার সমর্থকরা। কিন্তু পার্ট টাইম লেগি লিভিংস্টোনের বলে সুইপ করতে গিয়ে ফ্লাইট মিস করেন মুশফিক। প্রথম ধাপে আম্পায়ার আউট না দিলেও রিভিউ নিলে দেখা যায়, বিদায়ের ঘণ্টা বাজার মতো কাণ্ড করে রেখেছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। ৩০ বলে ২৯ রান করে গত ম্যাচেই ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দেয়া মুশফিক বিদায় নিলে বিপর্যয় কেবলই গাঢ় হয় বাংলাদেশের। আর ইনিংসের দারুণ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে লিভিংস্টোনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফ্লাইটের সাথে মাহমুদউল্লাহ মিস করে ফেলেন টাইমিংও। ২৪ বলে ১৯ রান করে দলের বিপদ বাড়িয়ে সাজঘরে ফিরেছেন টাইগার অধিনায়ক।
শেষে নাসুম ও সোহানের ২৬ রানের জুটিতে মামুলি এক সংগ্রহ দাঁড় করতে পেরেছে বাংলাদেশ। তাতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বোলাররা কতোটুকু লড়াই করা যাবে, সে নিশ্চয়তা দিতে পারবে না বোধহয় কেউই।
Leave a reply