পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ছয়টি গ্রামের মানুষকে বছরে নয় মাস থাকতে হয় জলাবদ্ধ হয়ে।
বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর, ধুকুরিয়াবেড়া, কলাগাছী, সামান্যপাড়া, ভেকাপাড়া ও মেটুয়ানী গ্রামের কৃষকরাই মূলত ওই হতভাগা জলবন্দি মানুষ। সড়কে কোনো কালভার্ট এবং ব্রিজ না থাকায় পানি নিষ্কাশন হয় না। আর এর ফলে তৈরি হয়েছে স্থায়ী জলাবদ্ধতা। এখানকার ৫শ একর জমিতে প্রতি বছর দুই বার ধান এবং একবার সরিষার চাষ করা হতো। কিন্তু ২০০৫ সালে দুটি সড়ক নির্মাণের পর পাল্টে যায় এখানকার চাষাবাদ। বছরে মাত্র একবার ফসল ফলানো যায় এখানকার জমিগুলোতে।
আগের চারটি কালভার্ট কিছুটা সচল থাকলেও গত তিন বছর ধরে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বন্ধ করে রেখেছে কালভার্টের মুখ। সেখানে নির্মাণ করেছে বিভিন্ন পাকা স্থাপনা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সরকারের বিভিন্ন দফতরে আবেদন করেও প্রতিকার পাননি ভুক্তভোগীরা।
বেলুকচি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্যাণ প্রসাদ পাল জানালেন, বিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। আর দ্রুত কয়েকটি কালভার্ট নির্মাণের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানালেন উপজেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকৌশলী রইসুল আরেফিন। তিনি মনে করেন, সড়ক নির্মাণের সময় কয়েকটি কালভার্ট ও ব্রিজের মুখ বন্ধ করে দেয়ায়ই সৃষ্টি হয়েছে এই জলাবদ্ধতা।
Leave a reply