‘সমালোচক’ গাভাস্কারের নাগিন নাচ!

|

ক্রিকেটে কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। বহুবার বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাটও চালিয়েছেন তিনি। কিন্তু শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সর্বশেষ ম্যাচে অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় সাকিবদের সমালোচনায় একেবারে ভদ্রতা, নীতিবাক্যের ঝাঁপি খুলে বসেছেন এই ভারতীয় ক্রিকেটার।

খেলার মাঠে স্পোর্টসম্যানশিপ বজায় রাখার দায় কি শুধু বাংলাদেশের? স্পোর্টসম্যানশিপের নামের কোনো অন্যায় মেনে নেওয়াও কি স্পোর্টসম্যানশিপ?

আবার বিষয়টি এমন নয় যে এর আগে কেউ অন্যায়ের এমন প্রতিবাদ করেনি। খোদ সুনীল গাভাস্কার অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে টেস্ট ম্যাচে ডেনিস লিলি’র বলে আম্পায়ার তাকে আউট দিলে তিনি সেটা না মেনে মাঠ ছেড়ে উঠে আসতে চেয়েছিলেন।

যদিও ক’দিন আগেই তিনি এ বিষয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে তিনি ভদ্রতা বিষয়ক পাঠ দেওয়া পাশাপাশি যদি ভালো আম্পায়ারিং-এর পাঠটাও দিচ্ছেন না কেন? কেন তিনি পুরো ক্রিকেট বিশ্বের স্পোর্টসম্যানশিপ নিয়ে কথা বলছেন না? এ বিষয়ে তিনিই হয়তো ভালো বলতে পারবেন!

এতদিন পর্যন্ত সুনীল এক ধরনের ‘সু-নিরপেক্ষতা’ ধরেই রেখেছিলেন তিনি! কিন্তু শেষ অবধি কোনো কিছুই যে ভেতরে চেপে রাখা যায় না, অন্তত এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুগে তা আবারও একবার প্রমাণ হলো।

ভদ্রতা ও ব্যবহার বিষয়ে সমালোচনায় মুখর গাভাস্কার ভাষ্যকার আমির সোহেল এবং ব্রেট লি’র উপস্থিতিতে বয়স ও ব্যক্তিগত কোনো সম্মানের বালাই না রেখে নিজেই ধেই ধেই করে কোমর দুলিয়ে দুলিয়ে বাংলাদেশিদের ব্যঙ্গ করতে লাগলেন।

পাশাপাশি বাংলাদেশকে ভদ্রতা শেখাতে আসা ভারতীয়রাও বেশ প্রশংসা করছেন, গাভাস্কারের অমন একটি কোমর দুলানোর নৃত্যের।

সাধুবাদের নতুন ‘বার্তাবাহক’ গাভাস্কারের নাগিন নাচে বেশ সমালোচনার ঝড় তুলেছে। বিশেষত বাংলাদেশি দর্শক ও সমর্থকরা গাভাস্কারের মতো মানুষের কাছ থেকে অমন আচরণ পেয়ে একেবারেই মর্মাহত।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভদ্রতার ফেরিওয়ালা গাভাস্কারের সর্প নৃত্যকে অনেকেই দেখছেন দ্বিচারিতা হিসেবে; অর্থাৎ ‘কথায় ঘোমটা পরা বউ আর কাজে খেমটা নাচ।’

সবশেষে, একটি প্রশ্ন থেকেই যায়। ভদ্রতা ও স্পোর্টসম্যানশিপের ফেরিওয়ালা সুনীল গাভাস্কারের এমন দু’মুখো আচরণ দেখে যদি কারও মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ের রোঁ’-প্রহসনটির কথা মনে পড়ে, তবে সেটা নিতান্তই কাকতালীয় বিষয় হবে কি?

যমুনা অনলাইন: এফএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply