ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করোনার ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ডব্লিউএইচও জানায়, জরুরি প্রয়োজনে এখন থেকে ব্যবহার করা যাবে কোভ্যাক্সিন। এতে ভারতের এই টিকা গ্রহণ করে নিয়ে বিদেশ সফরে গেলেও আর সমস্যায় পড়তে হবে না। খবর বিবিসি’র।
এর আগে ডব্লিউএইচও-এর পক্ষ থেকে মাত্র ছয়টি করোনা টিকাকে অনুমোদন দেয়া হয়েছিলো। সেগুলো হল কোভিশিল্ড, মডার্না, ফাইজার, জনসন অ্যান্ড জনসন, সিনোফার্ম এবং সিনোভ্যাক। কিন্তু নানা জটিলতায় আটকে ছিল কোভ্যাক্সিনের ছাড়পত্র। কোভ্যাক্সিনের অনুমোদনের জন্য বহুদিন আগেই ডব্লিউএইচও-এর কাছে আবেদন করেছিলো ভারত বায়োটেক। সপ্তাহ খানেক আগেই কোভ্যাক্সিন ডব্লিউএইচও’র ছাড়পত্র পাবে বলে মনে করা হচ্ছিলো। কিন্তু সেসময় ভারত বায়োটেকের দেয়া তথ্যে সন্তুষ্ট ছিল না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তখন ভারত বায়োটেকের কাছে আরও তথ্য চাওয়া হয়। সেই তথ্য হাতে পেয়েই ভারত বায়োটেকের তৈরি ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়ে দিলো ডব্লিউএইচও।
এই মুহূর্তে দুটি করোনার টিকা ভারতে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড ভারতে তৈরি হলেও তা সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়নি। সেরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের মাটিতে এই ভ্যাকসিন তৈরি করছে। কিন্তু ভারত বায়োটেক এবং আইসিএমআরের তৈরি কোভ্যাক্সিন সম্পূর্ণভাবেই ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি।
প্রসঙ্গত, এর আগেই বিশ্বের ১৩টি দেশ কোভ্য্যক্সিনকে ছাড়পত্র দিয়েছিল। ভারত সরকারও ডব্লিউএইচও-এর ছাড়পত্রে অপেক্ষা না করে নাগরিকদের কোভ্যাক্সিন টিকা দেয়া শুরু করে অনেক আগেই। কিন্তু ডব্লিউএইচও-এর ছাড়পত্র না থাকায় ১৩টি দেশের বাইরে অন্য কোনও দেশে গেলে সমস্যায় পড়তে হতো কোভ্যাক্সিনের টিকা নেয়া ভারতীয়দের।
Leave a reply