কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে এই মুহূর্তে ছাঁটাই করলে প্রায় ১ বছরের বেতন বাড়তি গুনতে হবে বিসিবিকে; আর তাই চাইলেও সে পথে হাঁটতে চাইছে না সংস্থাটি। ডমিঙ্গোর অধীনে দেশের বাইরে টাইগারদের সাফল্য খুবই কম। আর সেই পোর্টফোলিওতে সদ্য যুক্ত হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টাইগারদের ভরাডুবি। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ দলের কোচ পদে তার থাকা না থাকা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।
তবে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পরও বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ থাকছেন রাসেল ডমিঙ্গোই। বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ই অফার লেটারে সই করেছেন তিনি, অর্থাৎ তার চুক্তির মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়িয়েছে বিসিবি। গুঞ্জন আছে, বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পরও আগের চেয়ে ৪৫ ভাগ বেশি পারিশ্রমিক পাবেন এই প্রোটিয়া কোচ!
বিসিবির সাথে চুক্তি অনুযায়ী, এ বছরের আগস্ট পর্যন্ত মেয়াদ ছিল রাসেল ডমিঙ্গোর। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সেই মেয়াদ বাড়ানো হয় নভেম্বর পর্যন্ত।
পরবর্তীতে, বিসিবি-ডমিঙ্গোর দর কষাকষিতে আগামী ২ বছরের জন্য বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব পাকাপাকি হয়েছে। বেতন বাড়ানোর পাশাপাশি ডমিঙ্গো অবশ্য কঠিন শর্ত জুড়ে দেন চুক্তিতে। যেখানে আগামী ১ বছরের মধ্যে তাকে চাকুরিচ্যুত করলে বছরের বাকি মাসগুলোর বেতন বুঝিয়ে দিতে হবে ডমিঙ্গোকে। অর্থাৎ, এখন তাকে ছাঁটাই করলে গুনতে হবে বাড়তি ২ কোটি টাকার মতো!
ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের সাথে ভারত-শ্রীলঙ্কার মাটিতে ভালো করায় বোর্ডের বাড়তি আস্থা ছিল ডমিঙ্গোর উপর। তবে বিশ্বকাপে কোচের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিসিবির পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। অবশ্য বিসিবি থেকে প্রশ্ন উঠলেও কোচের দায় দেখছেন না অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, খেলোয়াড়দের প্রতি যদি বোর্ডের বিশ্বাস না থাকে তবে খেলোয়াড়দের কাজটাও কঠিন হয়ে যায়। আর সেক্ষেত্রে বোর্ডের উপর বিশ্বাসহীনতায় ভুগতে থাকে খেলোয়াড়রাও। তারা ভাবে, ম্যানেজমেন্ট ভুল করেছে। বিভিন্ন ম্যাচে তারা দল নির্বাচনে ভুল করেছে। আর দল নির্বাচনে ভুল করা মানে উইকেট পড়তেই ভুল করেছে ম্যানেজমেন্ট। শ্রীলঙ্কা ম্যাচে তাসকিনকে না খেলানোয় আমি নিজেও অবাক হয়েছি। ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেয়ার পরের ম্যাচেই তাসকিনকে না খেলানোর কারণ আমি বুঝতে পারিনি।
হতাশার বিশ্বকাপে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ। নতুন করে মাঠে ফেরার লড়াইয়ে প্রতিপক্ষ প্রতাপশালী পাকিস্তান। এ অবস্থায় নিজেদের সবকিছু গুছিয়ে নেয়াটাই হবে টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
Leave a reply