আগামীকাল টি-টোয়েন্টিতে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেতে যাচ্ছে ক্রিকেট বিশ্ব। দুবাইয়ের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া লড়বে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। তাসমান সাগরের দুই প্রতিবেশির লড়াইয়ে পরিষ্কার ফেভারিট নয় কেউই। যদিও টস জয়টা হয়ে উঠতে পারে বড় নিয়ামক। কারণ, দুটি সেমিফাইনালেই রান তারা করে এসেছে জয়।
১৬ দল ও ৪৫ ম্যাচের টুর্নামেন্ট এখন এসে দাঁড়িয়েছে ১ ম্যাচ ও ২ দলে। ফাইনালের সেই মহারণ শেষে দুবাই পরিচয় করিয়ে দেবে খাটো ফরম্যাটে ক্রিকেট বিশ্বের নতুন রাজাকে। সেই রাজত্বে অ্যারন ফিঞ্চের অস্ট্রেলিয়া নাকি কেন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ড বসবে, তার ফয়সালা হবে মাঠে ২২ গজে। তবে তাসমান সাগরের এপার ওপার যেন মিলেছে এক মোহনায়। রোমাঞ্চকর দুই সেমিফাইনাল জিতে দেখিয়েছে, কতটা সুন্দর হতে পারে ক্রিকেট!
আইসিসির সংবাদ সম্মেলনে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বলেন, ফাইনালটা মূলত দুই প্রতিবেশির লড়াই। একে অপরকে আমরা জানি। দুর্দান্ত একটা ফাইনালের অপেক্ষায় আছি। যা হয়নি আগে সেটাই করে দেখানোর সুযোগ আমাদের সামনে। পুরো আসরে ভালো খেলার ফসলটা ঘরে তুলতে চাই।
ফাইনালের আগে ডেভন কনওয়ের ছিটকে যাওয়া নিঃসন্দেহে নিউজিল্যান্ডের জন্য এক বড় ধাক্কা। তবে ড্যারিল মিচেল- জিমি নিশামরা প্রতিপক্ষের চিত্রনাট্য বদলাতে পারেন একাই। সাথে বোল্ট-ইশ সোধির বোলিং জাদু কিউইদের বসিয়ে দিতে পারে সিংহাসনে। তবে ২০১৫ বিশ্বকাপের ফাইনালে এই উইলিয়ামসনদের স্বপ্নটা কেড়ে নিয়েছিল স্মিথরা। মেলবোর্ন থেকে দুবাইয়ের ক্যানভাসে সেই ছবিটার ফটোকপি করে দিতে পারেন ম্যাথু ওয়েড-ওয়ার্নাররা।
অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ বলেছেন, দুটো যোগ্য দলই ফাইনালে এসেছে। আমরা টানা সিরিজ হারলেও জানতাম টুর্নামেন্টে ভালো করার সামর্থ্য আছে। সেই পরিকল্পনা মতোই এগুচ্ছি আমরা। স্মিথের রানে না থাকা নিয়ে ভাবছি না, কেননা পুরো আসরে আমরা দল হিসেবেই খেলেছি।
দুবাইয়ে রান তাড়া করে জয়ের পরিসংখ্যানই বেশি ভারি। আর তাই শিশির ভেজা সন্ধ্যায় টস ভিজিয়ে দিতে পারে প্রতিপক্ষের চোখ। তবে দর্শকদের প্রত্যাশা, সেমির মত শেষ ম্যাচেও মঞ্চায়ন হোক ক্রিকেট থ্রিলার রচিত এক মহাকাব্য- যেখানে দল নয়, জয়ী হোক ক্রিকেট।
Leave a reply