কাবুলে তালেবানের সামরিক কুচকাওয়াজ

|

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন সামরিক বাহিনীর ফেলে যাওয়া বিভিন্ন অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে কুচকাওয়াজ করলো তালেবান। আফগান সামরিক বাহিনীতে নতুন সদস্য নিয়োগ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এই কুচকাওয়াজ।

যেসব অস্ত্র একসময় ব্যবহার হয়েছে তালেবানকে দমাতে, এখন সেসব অস্ত্রই হয়ে উঠেছে তাদের মূল হাতিয়ার। তাই নিয়েই এবার রাজপথে কুচকাওয়াজ আফগানিস্তানের নতুন সামরিক বাহিনীর।

আফগান সামরিক বাহিনীতে নতুন সদস্য নিয়োগ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এই কুচকাওয়াজ। যাতে অংশ নেয় আড়াইশ’ সদস্য। মার্কিন সামরিক বাহিনীর ফেলে যাওয়া সাজোয়া যান, বিমান বিধ্বংসী কামান, রকেট লাঞ্চার এবং ভারি মেশিনগান নিয়ে চলে প্যারেড। এমনকি মার্কিন স্পেশাল ফোর্সের গিয়ার পরিহিত অবস্থায় দেখা যায় অনেক তালেবান সদস্যকে। চলে সামরিক হেলিকপ্টার নিয়ে টহলও। তবে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সাধারণ আফগানদের মাঝে।

সাধারণ আফগানরা বলছেন, তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকার এবং এই সামরিক বাহিনী নিয়ে আমরা গর্বিত। মাতৃভূমি এবং এর জনগণকে রক্ষায় এরাই আমাদের একমাত্র আশা। তবে কেউ কেউ বলছেন, যদি কার্যকর সরকার ব্যবস্থাই না থাকে তাহলে এই সামরিক শক্তির প্রয়োজন কী। জন-বিচ্ছিন্ন সরকার হলে খামাখা এসব কুচকাওয়াজ করে কী লাভ।

এদিকে তালেবানের ঘোষণা, মার্কিন বাহিনী এবং তৎকালীন আফগান সামরিক বাহিনীর সাথে কাজ করা সদস্যদের নিয়ে গঠন করা হবে আলাদা ইউনিট। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ফেলে যাওয়া বিমানসহ অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম পরিচালনা করা হবে এই ইউনিটের মাধ্যমে।

গেল ১৫ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে সহায়তার অংশ হিসেবে আফগান সামরিক বাহিনীকে দেয়া হয়েছে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল, রকেট, নাইট-ভিশন গগলস, গোয়েন্দা নজরদারি চালানোর জন্য ড্রোনের মতো সামরিক সরঞ্জাম ও অস্ত্র। তালিকায় ব্ল্যাকহকের মতো অত্যাধুনিক হেলিকপ্টারও রয়েছে। কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর এসব অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply