কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের মতো ঘৃণ্য কাজ করে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে যে কলঙ্ক দিয়েছে স্মিথ-ওয়ার্নাররা তা ক্রিকেট ইতিহাসে বিরল। যারা ক্রিকেটকে এতোদিন শাসন করেছে, আজ তারাই পুরো ক্রিকেট বিশ্বে নিন্দিত। এই ঘটনায় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি কেবল স্মিথকে এক টেস্টে নিষিদ্ধ করে ক্রিকেটের অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) হাতে দায়িত্বটি ছেড়ে দিয়েছে।
কেপটাউনে টেস্টের দিন শেষে অধিনায়ক নিজেই বলেন যে, এই প্রতারণাটি তারা দলীয়ভাবেই করেছেন। কাজটির জন্য পুরো বিশ্বে লজ্জিত ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। বিষয়টি গড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত। সাথে সাথেই স্মিথের অধিনায়কত্ব কেড়ে নেয়ার নির্দেশ আসে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে।
এবার এই ঘটনার মূল তদন্তের ভার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার হাতেই। এই দায়িত্ব পেয়ে বেশ কঠিনই হতে হচ্ছে সিএ কে। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের কোড অব কন্ডাক্ট ভঙ্গে সর্বোচ্চ শাস্তি আজীবন নিষেধাজ্ঞায়ও পড়তে পারেন দুই অধিনায়ক স্মিথ-ওয়ার্নার।
তবে চুড়ান্ত শাস্তির আগে স্মিথ, ওয়ার্নার, বেনক্রফট এবং দলের কোচ ড্যারেন লেহম্যানের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলবে সিএ। তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী পরে নির্ধারিত হবে যে কয়জনকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।ক্রিকেটের ৪২ নম্বরের আইন অনুযায়ী, খেলার নিয়মের বাহিরে কোন প্রতারণা মূলক কিছু করলে তার জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে আজীবন নিষেধাজ্ঞা।
তবে আইন ভাঙ্গার ফলে তা ক্রিকেটে কতটা প্রভাব ফেলেছে তার উপর নির্ভর করবে শাস্তির পরিমান। অবশ্য ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের প্রধান জেমস সাদারল্যান্ড ক্রিকেট ভক্তদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। দেশের ক্রিকেটের সম্মান বাঁচাতে এবং সমার্থকদের ভরসার মূল্য দিতে স্মিথ-ওয়ার্নার যে বড় শাস্তির মুখেই পড়তে যাচ্ছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
Leave a reply