বল বিকৃতি নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে চলছে নানা ধরনের বিচার-বিশ্লেষণ। উঠে আসছে পুরো অনেক ঘটনা, বাদানুবাদ। কিন্তু আর যাই হোক, খেলায় এ ধরনের প্রতারণা মানতে পারছেন না অস্ট্রেলিয়া দলে সাবেক খেলোয়াড়রা।
এক সময়কার অন্যতম সফল অসি অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহ ক্রিকেট অস্টেলিয়াকে বলেছেন, “বর্তমান অস্ট্রেলিয়া দল যে এই মন্ত্রে (ক্রীড়া নৈপুণ্য ও স্বচ্ছতা) বিশ্বাস করে, সে নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু কিছু খেলোয়াড় আমাদের নাম ডুবিয়েছে, কেপ টাউন টেস্টে মারাত্নক ভুল করেছে। এ কাজের সঙ্গে জড়িতদের নিন্দা জানাতে পুরো বিষয়টিকে দূরদৃষ্টি ও ভারসাম্যপূর্ণভাবে আমলে নিতে হবে, এবং দলের সব খেলোয়াড়ের ওপর এর সামাজিক ও মানসিক প্রভাবকেও বিবেচনায় নিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বিষয়টা এমন নয় যে ক্রিকেট বিশ্বে অস্ট্রেলিয়া একটি হাস্যসস্পদ। এর গর্ব করার মতো অনেক কিছু রয়েছে। এই ঘটনাকে মানুষকে নেতিবাচক আরও অনেক কিছু ভাবাতে সহায়তা করবে।”
তবে সাধারণ মানুষ নয়, খোদ বিশ্ব বরেণ্য ক্রিকেটাররাই এই ঘটনার সূত্র ধরে অনেক কিছুই জল্পনা-কল্পনা করতে শুরু করেছেন। এক টুইট বার্তায় পাকিস্তানের গতি তারকা ওয়াকার ইউনুস লিখেছেন, “আমাকে বলবেন না এটা প্রথমবারের মতো ঘটেছে…………, তাই কি? পুরনো ভিডিও ফুটেজগুলো আবারও দেখা দরকার।”
Don’t tell me this is happening for the first time,,,,is it ?????? We might have to dig out some old footage 🤫 pic.twitter.com/wnk0Qvml3Q
— Waqar Younis (@waqyounis99) March 25, 2018
তবে আগে কি ঘটেছে না ঘটেছে, সেটা সময় বলে দেবে; কিন্তু এবারের ঘটনা যে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মুখে প্রতারণার চুল-কালি মেখে দিয়েছে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নাই।
স্টিভ ওয়াহ কথা সঠিক হলে পুরো একটি দল যে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে সেটাও প্রমাণিত। এ নিয়ে দ্বিমত নেই অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের স্বর্ণযুগের অন্যতম সেরা উইকেট রক্ষক ও মারকুটে ব্যাটম্যান অ্যাডাম গিলক্রিস্টের। যিনি ক্রিকেট বিশ্বে চমৎকার স্পোর্টসম্যানশিপের জন্য সর্বদা প্রসংশিত ছিলেন।
বিবিসি রেডিও ফাইভকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “সকালে ঘুম থেকেই উঠেই হতভম্ব, এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা খবরটি ছিল হতাশাজনক। বিশ্বাসই হচ্ছিল না, পুরো অস্ট্রেলিয়া দল প্রতারণার সাথে জড়িত।”
শুধু সাবেক ক্রিকেটাররা নন, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অর্থাৎ দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড বলেন, “খেলাধুলার জগতে গাঁয়ে প্রতারণার তকমা এঁটে যাওয়া সবচেয়ে জঘন্য বিষয়। এটা ঝেড়ে ফেলে দেওয়া প্রায় অসম্ভব।”
যমুনা অনলাইন: এফএইচ
Leave a reply