ভলিবল থেকে ক্রিকেটে আসার গল্পটা অনেক বড় নিউজিল্যান্ড টেস্টের নায়ক এবাদত হোসেনের। ম্যাচ জয়ের পর তিনি বললেন, ক্রিকেট এবং বাংলাদেশকে হৃদয়ে ধারণ করেন তিনি। আর তাসকিন আহমেদের কণ্ঠে ঝরলো দলের প্রতি ক্রিকেটারদের প্রতিশ্রুতি, ১১০ পার্সেন্ট দিয়েই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে জিতেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে তখনো সূর্য না উঠলেও ক্রিকেটের নতুন সূর্য ঠিকই উঠে গিয়েছে নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মঙ্গানুইতে। নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ। যে কোনো ফরম্যাটেই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এটি টাইগারদের প্রথম জয়। বিশ্বকাপে হতশ্রী অবস্থার পর ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি আর টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হওয়া বাংলাদেশ বে ওভাল টেস্টের আগে টানা পাঁচদিন প্রতিপক্ষের উপর ছড়ি ঘুরিয়ে সবশেষ কবে টেস্ট জিতেছে, তা হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না স্মৃতিকথা বা কোনো রেকর্ড বইয়েও। তবে এই কর্তৃত্বও মুমিনুল হকের দল দেখালো সদ্য টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী নিউজিল্যান্ডের উপর।
আকাশ জয় করা এবাদত এবার জয় করলেন মাটিও। ম্যাচ জয়ের পথে ম্যাচ সেরা হওয়া এই পেসার বললেন, প্রথমত আল্লাহকে ধন্যবাদ। দ্বিতীয়ত ধন্যবাদ জানাই আমাদের সমর্থকদেরকে। আমরা একটা লক্ষ্য ঠিক করেছিলাম। আমি বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের সোলজার। তাই আমি জানি কীভাবে স্যালুট করতে হয়। ভলিবল থেকে ক্রিকেটে আসার গল্পটা অনেক লম্বা। আমি ক্রিকেট পছন্দ করি। পছন্দ করি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে।
বাংলাদেশের মূল স্ট্রাইক বোলার তাসকিন আহমেদের কণ্ঠে ধ্বনিত হলো দলের জয়ী মানসিকতা। তিনি বললেন, এটা আমাদের জন্য দারুণ অর্জন। আমরা ফলাফল নিয়ে ভাবিনি। একটা প্রসেসের মধ্য দিয়ে চলছিলাম। আমরা আমাদের ১১০ পার্সেন্ট দিয়েছি। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এটা আমাদের প্রথম জয়।
আরও পড়ুন: টাইগারদের জয়ে তছনছ রেকর্ডের পাতা
তাসকিনের কথা ধরেই বলতে হয় এটা সবে শুরু, তবে শেষ নয়। এরপর আরও কাব্য-মহাকাব্য রচিত হবে এই বাঘেদের হাত ধরেই। ক্রিকেটাররা যখন নিজেদের সামর্থেরও বেশি উজাড় করে দিতে শিখেছে দলের প্রতি নিবেদন থেকে, তখন তো এমনটা আশা করাই যাই।
আরও পড়ুন: ‘জয়ের পুরো কৃতিত্বই বাংলাদেশের’
Leave a reply