সাড়ে ৪ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে থাকার ছবিটা ভুলতে দেয় না দিনক্ষণ। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে বিএসএফের বুলেট কেড়ে নেয় কিশোরী ফেলানীর জীবন। তারপর থেকে ১১ বছর ধরে ঝুলে আছে ফেলানী হত্যার বিচারকাজ। ভারতের সুপ্রিমকোর্টে ফেলানীর বাবার করা রিট আবেদনের শুনানি পিছিয়েছে দফায় দফায়। অথচ এতগুলো বছর সন্তান হত্যার বিচারের আশায় বসে আছে ফেলানীর পরিবার।
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০১৩ সালে কোচবিহারে জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে শুরু হয় ফেলানী হত্যার বিচার। দুই দফায় বিচারিক রায়ে খালাস পায় অভিযুক্ত সদস্য অমিয় ঘোষ। রায়ে সংক্ষুব্ধ বাদিপক্ষ রিট আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টে। তবে করোনা সংক্রমণসহ নানা কারণে শুনানি পিছিয়েছে কয়েক দফা।
কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোটকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন বললেন, আগের তুলনায় সহিংসতার ঘটনা হয়তো কমে এসেছে, তবে ফেলানী হত্যার বিচার এখনও মেলেনি।
আসামি খালাস পাওয়ায় সুষ্ঠু বিচারে শঙ্কায় ফেলানীর পরিবার। হতাশ মামলার ধীরগতিতে। ফেলানীর বাবা জানান, ভারত থেকে তাকে নিয়ে আসার সময় খুন করা হয়। আর মা বললেন, ফেলানীকে মেরে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। সেখানে ফেলানী পানির জন্য চিৎকা করছিল। তাকে পানি পর্যন্ত দেয়া হয়নি।
আর স্থানীয়রা বলছে, আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার না হওয়ায় সীমান্তে বিএসএফের নির্বিচার গুলি থামছে না।
সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার হিসাবে, ১১ বছরে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন সীমান্তে প্রাণ গেছে ২০ জন বাংলাদেশির। জখম বা পঙ্গু অর্ধশতাধিক।
/এডব্লিউ
Leave a reply