৭৫ বছর পর বৈধতা পেল মানকাডিং, ক্রিকেটের নিয়মে একাধিক পরিবর্তন

|

ছবি: সংগৃহীত

প্রায় ৭৫ বছর পর বৈধতা পেল মানকাডিং আউট। ১৯৪৭ সালে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্টে ভিনু মানকড়ের সমালোচিত ও বিখ্যাত আউটকে রান আউটের বৈধতা দিল মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব-এমসিসি। সেই সাথে ডেড বল, আউটের পর স্ট্রাইকিং পজিশন ও আনফেয়ার ফিল্ডিংয়ে প্রতিপক্ষকে পেনাল্টি দেয়া নিয়ে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে ক্রিকেটের আইন প্রণয়নকারী সংস্থাটি। ১ অক্টোবর থেকে এই আইনগুলো চালু করবে আইসিসি।

মানকাডিং নামটাই এসেছে ভিনু মানকড় থেকে। শুরু থেকেই এই আউটটি বেশ বিতর্কিত। বোলার যখন বল করার জন্য প্রস্তুতি নেন, রানআপের সময় নন স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটার ক্রিজ থেকে একটু সামনে এগিয়ে গেলেই সুযোগ পেয়ে বোলার নন স্ট্রাইক এন্ডে উইকেট ভেঙে দিলে হয় এই আউট। এ ধরনের পরিস্থিতিতে আউট দেয়া হলেও সমালোচিত ও ক্রিকেটের চেতনা পরিপন্থী হিসেবে একে অভিহিত করে ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অনেকেই।

ছবি: সংগৃহীত

২০০৩ সালে পাকিস্তান সফরে মূলতান টেস্টে জয়ের দিকে বাংলাদেশ ছিল নিরঙ্কুশ ফেবারিট। সেদিন উমর গুলকে মানকাডিং করার সুযোগ পেয়েছিলেন মোহাম্মদ রফিক। ভদ্রতার পরিচয় দিয়ে গুলকে মানকাডিং করেননি তিনি; তাই বাংলাদেশের কপালে জয়ের বদলে জুটেছিল ১ উইকেটের পরাজয়।

১৯৪৭ সালে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার টেস্টে অজি ব্যাটার বিল ব্রাউনকে ঠিক এভাবেই আউট করেছিলেন ভারতীয় বোলার ভিনু মানকড়। এরপরে চরম সমালোচনার মুখে পড়ে যাওয়া মানকড়ের নামের সাথে মিল রেখে এ ধরনের আউটের নাম দেয়া হয় মানকাডিং। এই মানকাডিং আউটকে এবার বৈধতার স্বীকৃতি দিয়েছে এমসিসি। রানআউটের আওতায় আনা হয়েছে মানকাডিংকে।

সেই সাথে এমসিসি পরিবর্তন করেছে আরও কিছু নিয়মের। ব্যাটারের পজিশন পরিবর্তনের কারণে বোলার বিভ্রান্ত হয়ে যদি ওয়াইড লাইন ক্রস করে ফেলে তাহলে সেটাকে আর ওয়াইড বল দেয়া হবে না। ওয়াইড ঘোষণা করা হবে ব্যাটারের পজিশনের উপর নির্ভর করে।

ক্যাচ আউটের সময়ে নন স্ট্রাইক পজিশনের ব্যাটার যদি অর্ধেক ক্রিজ পার করে ফেলতেন তাহলে নন স্ট্রাইক পজিশনের ব্যাটারই স্ট্রাইক পজিশন পেতেন এতদিন। কিন্তু এখন নিয়মের পরিবর্তনে ক্রিজে আসা নতুন ব্যাটারই স্ট্রাইক পজিশন পাবেন।

এদিকে, ফিল্ডারদের আনফেয়ার পজিশন নিয়ে পেনাল্টির ব্যবস্থা করেছে এমসিসি। আগে ফিল্ডাররা কোনো প্রকার সুবিধা নিলে বলটি ডেড বল ঘোষণা করা হতো। কিন্তু এখন প্রতিপক্ষের স্কোরবোর্ডে ৫ রান যোগ করার নিয়ম করা হয়েছে। এবং বলে লালা লাগানোকে বল টেম্পারিংয়ের আওতায় এনেছে মেরিলিবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব এমসিসি।

আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশে নাসুম

এম ই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply