সাকিবের অনুপস্থিতিতে হতাশ ক্রিকেটপ্রেমীরা

|

ফাইল ছবি

দক্ষিণ আফ্রিকাগামী বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের সাথে যেতেই পারতেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের জন্য ঘোষিত টেস্ট ও ওয়ানডে স্কোয়াডে নামও ছিল তার। বিমানবন্দরে ক্যামেরার ফ্রেম নিশ্চয়ই খুঁজে নিতো সাকিব আল হাসানকে, কিন্তু সেখানে ছিলেন না তিনি। একদম শেষ মুহূর্তে এসে সাকিব নিজের নাম সরিয়ে নেয়ায় হতাশ হয়েছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।

দক্ষিণ আফ্রিকার মতো কঠিন কন্ডিশনের দেশসেরা ক্রিকেটারকে পাওয়া যাবে না, এমন খবরের ফলশ্রুতিতে নেটিজেনদের আলোচনার অনেকাংশেই উঠে এসেছে, সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরগুলোয় এই চ্যাম্পিয়ন অলরাউন্ডারের অংশগ্রহণের তুলনামূলক চিত্র। ২০১৭ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে এ পর্যন্ত ১৪৩ ম্যাচের ৫৭টিতে ছিলেন না সাকিব।

বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই পোস্টার বয়কে অনেক ক্ষেত্রে ব্যাড বয় হিসেবেও অভিহিত করে থাকেন ক্রিকেটামোদীরা। বিভিন্ন কারণেই খবরের শিরোনাম হয়েছেন সাকিব, কখনও স্ট্যাম্পে লাথি মেরে অথবা সিরিজের আগে নিজের নাম সরিয়ে নিয়ে। শিরোনাম হয়েছেন বায়োবাবল ভেঙে বিজ্ঞাপন অথবা শো-রুম উদ্বোধন করার মতো কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েও। এ নিয়ে অসহায়ত্বের সুর শোনা গেছে খোদ বিসিবি অভিভাবকের কণ্ঠে। সাকিব ইস্যুতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বললেন, চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের অবশ্যই চুক্তি অনুযায়ীই খেলতে হবে, তারা খেলতে বাধ্য। এ ব্যাপারে আমাদেরকে আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

তবে বিসিবির নির্বাচক প্যানেল অবশ্য সাকিব আল হাসানকে ৩ ফরম্যাটের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রেখে এই চ্যাম্পিয়ন অলরাউন্ডারের কাছ থেকে সেরা পারফরমেন্সই আশা করছে। বিসিবির নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক বলেছিলেন,  কেউ যদি দুটি সিরিজ বিশ্রাম নিতে চায় তাহলেই যে তাকে ৩ ফরম্যাটে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখা যাবে না, এমনটি নয়। সাকিব কিন্তু কোনো ফরম্যাট থেকেই সরে যায়নি। তাছাড়া সে এতটাই বড় মাপের ক্রিকেটার যে, সে নিজে থেকে সরে না গেলে ক্রিকেট বোর্ড থেকে তাকে সরিয়ে দেয়া একটু কঠিন।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply