হাঁড়িভাঙা আম দিয়ে হাঁড়ি ভরার গল্প এখন উৎপাদন করছে শঙ্কা

|

গত দুই দশক ধরে হাঁড়িভাঙা আম দিয়ে হাঁড়ি ভর্তির যে গল্প তৈরি হয়েছে রংপুরের প্রান্তিক অর্থনীতিতে, তার অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে। ব্যবসায়ীরা বাগান লিজ নিয়ে অধিক মুকুলের আশায় প্রয়োগ করছেন হরমোন। এতে রেকর্ডভাঙা মুকুল আসলেও গাছের ফলন ও গাছ নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় চাষি ও কৃষি বিভাগ।

গেলো তিন বছর মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ীরা বাগান লিজ নিয়ে মুকুল বৃদ্ধিতে প্রয়োগ করে কালটার্ন নামের হরমোন। এর ফলে মুকুলও আসে রেকর্ডভাঙা। কিন্তু মিঠাপুকুরের হাঁড়িভাঙা বাগানের মালিকদের শঙ্কা ক্রমেই দানা বাধছে। বাগানের অস্তিত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন কৃষকরাও।

এবারও হাঁড়িভাঙার বাম্পার ফলনের আশা কৃষকের। তবে কৃষি বিভাগের তদারকি না থাকায়, রোগবালাইয়ে ভরসা কীটনাশকের দোকানদার। নেই সংরক্ষণাগার। রাস্তাঘাটেরও বেহাল দশা। ফলে কৃষকের মুনাফার গুড় খায় মধ্যস্বত্বভোগীরা।

উচা বালুয়ার রাজা তাজ বাহাদুর সিংয়ের জংগলবাড়ির মালদিয়া গাছের ফলন, কালের পরিক্রমায় তেকানী গ্রামের নফল উদ্দিন পাইকারের হাত ধরে এখন হাঁড়িভাঙা। মাতৃগাছ থেকে কলমের সূত্র ধরে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এখন হাঁড়িভাঙার বাগান হলেও মাতৃগাছটি আজও সংরক্ষণ করা হয়নি বলে জানালেন মাতৃগাছের মালিক নফল উদ্দিন পাইকারের ছেলে আমজাদ হোসেন পাইকার।

এদিকে হাঁড়িভাঙার মুকুল বাড়াতে হরমোন প্রয়োগ নিয়ে শঙ্কার কথা জানালেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আশিষ কুমার সাহা।

প্রসঙ্গত, রংপুরের প্রান্তিক অর্থনীতি এখন আবর্তিত হচ্ছে হাঁড়িভাঙা আমকে ঘিরেই।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply