ব্যাটিং ছাপিয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়েছে তামিমের দূরদর্শী অধিনায়কত্ব

|

ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টাইগারদের প্রথম সিরিজ জয় এসেছে তামিম ইকবালের নেতৃত্বে। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে নিজে খেলেছেন ৮৭ রানের ইনিংস। কিন্তু ব্যাটিং ইনিংস ছাপিয়ে তামিম মুগ্ধ করেছেন তার দুরদর্শী অধিনায়কত্বে।

উইনিং শটটা সাকিব আল হাসানের। সৃষ্টিকর্তা হয়তোবা জন্মদিনের উপহারস্বরূপ এমনটাই লিখে রেখেছিলেন। নয়তো ২২ গজের ওপাড়ে ৮৭ রানে অপরাজিত থাকা অধিনায়কও যে ডিজার্ভ করতেন উইনিং শটটা।

ব্যাট হাতে ৮৭ রানের ইনিংসে জয়ের পথটাকে সহজ করেছেন তামিম। কিন্তু তার চাইতেও বেশি মুগ্ধ করেছেন অন ফিল্ড ক্যাপ্টেনসিতে। বড় ম্যাচ জিততে হলে অধিনায়ককে আক্রমণাত্মক হতে হয়, বেশিরভাগ সময়ই ঝুঁকি নিতে হয়। ইনিংসের ৫ম ওভারে মিরাজকে বোলিংয়ে এনে সেটাই করলেন তামিম। টার্গেট ছিলেন ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা কুইন্টন ডি কক। টার্গেট পূরণ করতে ১ ওভারের বেশি সময় নেননি মিরাজ, তার ২য় ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন ডি কক।

একটা ম্যাচের উইকেট কোন দিক থেকে কেমন তা বুঝে ফেলতে একজন ঝানু অধিনায়কের ৪ ওভারই যথেষ্ট। যে প্রান্ত থেকে শরিফুলকে শুরু করিয়েছিলেন, উইকেটের ধরন বুঝতে পেরে ১ ওভারের বিরতি দিয়ে নিয়ে আসলেন বিপরীত প্রান্ত থেকে। এবার দেখা গেল, উইকেটের ওই পাশ থেকে গুড লেন্থে এক্সট্রা বাউন্স পাওয়া যাচ্ছে। আর সেই প্রান্ত থেকেই বোলিং করালেন তাসকিনকে দিয়ে। বাকি গল্পটা তো সবারই জানা।

ছবি: সংগৃহীত

তুরুপের তাস যখন প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছে, তখন চেপে ধরাটা গুরুত্বপূর্ণ। দু’প্রান্ত থেকেই চাপে রাখতে তাসকিন-সাকিব জুটির ৭ ওভারের এক পার্টনারশিপ করালেন তামিম, যে ৭ ওভারে ২৪ রান খরচায় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেট।

পেস বোলারকে চাপমুক্ত, ঝুঁকিমুক্ত রেখে বোলিং করানোটা একজন বিচক্ষণ অধিনায়কের বৈশিষ্ট্য। ৩ পেসারকে তামিম ব্যবহার করেছেন ছোট ছোট স্পেলে। তাসকিনকে প্রথমে ২ ওভার, বিরতি দিয়ে পরে ৩ ওভার, তারপর আবার বিরতি দিয়ে শেষ ৪ ওভার করিয়েছেন। এই কথাগুলো রেকর্ডবুকে লেখা থাকে না , কিন্তু ক্রিকেটের টেকনিক্যাল বিষয় বিবেচনা করলে এই ছোট ছোট বিষয়গুলো ম্যাচ জয়ের অন্যতম প্রভাবক।

ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি সিরিজটাও বাংলাদেশের। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে যা বাংলাদেশের প্রথম। ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে, জয়টা এসেছে তামিমের নেতৃত্বে। ২০২৩ বিশ্বকাপের আগে তাই বলাই যায়, টাইগার ক্রিকেট ইজ ইন গুড হ্যান্ড।

এম ই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply