‘অ্যাডস অব ব্র্যান্ডস’এ চার দেশে শ্যুট করা ফাহাদের বিজ্ঞাপনচিত্র

|

নির্মাতা ফাহাদ খান ও তার বিজ্ঞাপনচিত্রের একটি দৃশ্য।

বাংলাদেশসহ চার দেশে শ্যুট করা ফাহাদ খানের বিজ্ঞাপনচিত্র জায়গা করে নিয়েছে ‘অ্যাডস অব দ্য ওয়ার্ল্ড’র ওয়েবসাইটে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আলোচিত ও নান্দনিক বিজ্ঞাপনচিত্রগুলোর দেখা পাওয়া যায় ‘অ্যাডস অব দ্য ওয়ার্ল্ড’এ। তবে বাংলাদেশি নির্মাতা ফাহাদের তৈরি করা ‘ম্যাজিক বাউলিয়ানা’র নতুন সিজনের প্রোমো বিজ্ঞাপনচিত্রটি একই দিনে জায়গা করে নেয় ‘অ্যাডস অব ব্র্যান্ডস’র টুইটার, ইউটিউব, ফেসবুক, পিন্টারেস্ট, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন ও টেলিগ্রামে। ফাহাদের জন্য নিশ্চয়ই পরের খবরটি একটু বেশিই বিশেষ। কেননা, ‘অ্যাডস অব দ্য ওয়ার্ল্ড’র তুলনায় ‘অ্যাডস অব ব্র্যান্ডস’-এ জায়গা করে নেয়াটা অপেক্ষাকৃত কঠিন।

কী আছে ফাহাদ খানের নির্মিত ‘ম্যাজিক বাউলিয়ানা’র বিজ্ঞাপনচিত্রে? প্রথমেই দেখানো হয় গ্রামবাংলার চিত্র, যেখানে একজন বাউল গাইছেন শাহ আবদুল করিমের জনপ্রিয় ফোক গান ‘গান গাই আমার মনরে বুঝাই মনে থাকে পাগলপারা…’। এরপর সেই একই সুরের তরঙ্গ দেখা যায় একান্ত সময়ে বা আড্ডার মাঝে। দেশের প্রান্ত পেরিয়ে প্রবাসী বাঙালির কণ্ঠেও ধ্বনিত হতে দেখা যায় বাঙালিয়ানার শাশ্বত এ সুর।

বিদেশি নাগরিকের মাঝেও বাংলা ফোকের প্রতিধ্বনিতে শেষ হয় এই প্রোমোর প্রথমাংশ। বাংলাদেশসহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় চিত্রায়িত এই বিজ্ঞাপনচিত্রের মাধ্যমে বার্তা দেয়া হয়, চিরায়ত ঢঙে গাওয়া বাউল গানের সাথে আধুনিক জনরার মেলবন্ধনও সম্ভব হতে পারে। যার বুকে বাজে বাউলিয়ানার সুর; সে গ্রাম, শহর কিংবা ভিনদেশ যেখানেই থাকুক না কেন, অংশ নিতে পারবে বাউল গানের এই প্রতিযোগিতায়। বাঙালি- অবাঙালি কিংবা একতারা-গিটারের কোনো সংঘর্ষ নয়, এখানে মিলবে কেবল বাঙালিয়ানার সুর।

যমুনা নিউজের সাথে আলাপচারিতায় নির্মাতা ফাহাদ খান জানান, বাংলাদেশসহ চারটি দেশে বিজ্ঞাপনচিত্রের শ্যুট করা ছিল দারুণ চ্যালেঞ্জিং। গত ১১ মে থেকে টিভি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে ‘ম্যাজিক বাউলিয়ানা’র এই প্রোমো বিজ্ঞাপনচিত্র। তবে সাম্প্রতিক সময়ে অ্যাডস অব দ্য ওয়ার্ল্ডের একটি ই-মেইল পেয়ে তিনি জানতে পারেন, তার কাজ ঠাঁই পেয়েছে বিশ্ববিখ্যাত ওয়েবসাইটটিতে। তিনি জানান, বাংলাদেশের বেশ কিছু বিজ্ঞাপনচিত্র এর আগেও যুক্ত হয়েছে অ্যাডস অব দ্য ওয়ার্ল্ডে। সেখানে তার কাজও আগেই জায়গা পেয়েছে। তবে ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকার বিজ্ঞাপনচিত্রের পাশাপাশি এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো বিজ্ঞাপনচিত্র জায়গা পেলো ‘অ্যাডস অব ব্র্যান্ডস’এ।

সুরের কোনো সীমানা নেই, এমনটিই মনে করেন দেশের নাম উজ্জ্বল করা এই নির্মাতা। তার মতে, সুরসাধক লালন, শাহ আবদুল করিমের সঙ্গীত ও দর্শন চর্চা ছড়িয়ে গেছে পুরো বিশ্বে। বাঙালিয়ানা ও বাউলিয়ানা একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ম্যাজিক বাউলিয়ানা প্রতিযোগিতাটিতে কোনো বিভাজন ছাড়াই যে মানুষ অংশ নিতে পারবে, সে বার্তা ছড়িয়ে দেয়ার জন্যই দেশসহ দেশের বাইরে চিত্রায়নের চ্যালেঞ্জটি তিনি গ্রহণ করেছিলেন। আর বিজ্ঞাপনচিত্রের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে নিজ দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারাও দারুণ সম্মানের বলে জানান নির্মাতা ফাহাদ।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply