পাট চাষের ৬ বিঘা জমিই ভেসে গেছে, বাড়িতেও নেই খাবার; কৃষকের হাহাকার

|

চাষের জমি হারিয়ে কৃষকের হাহাকার।

দেশের উত্তর-মধ্যাঞ্চলেও অবনতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। বানভাসি মানুষের আকুতিতে আর আর্তনাদে ক্রমশ স্পষ্টতর হচ্ছে সঙ্কট। শেরপুরের এক কৃষকের কণ্ঠে তাই হাহাকার। তার পাঠ চাষের ৬ বিঘা জমি ছিল। তার পুরোটাই ভেসে গেছে বানের জলে। ঘরে নেই খাবার ও পানি। এই কৃষকের কথাগুলো তাই অগণিত বানভাসির বাস্তবতা।

ভারতের সাথে পাহাড়ি সীমান্ত আছে এমন জেলাগুলোয় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। মধ্যাঞ্চলে ঢলের পানি নামছে, যমুনা-ব্রহ্মপুত্রে প্রবাহ বাড়তে থাকায় জামালপুরের মাদারগঞ্জ-ইসলামপুর-সরিষাবাড়ী ও বকশিগঞ্জে অন্তত ১৫টি ইউনিয়ন প্লাবিত। জামালপুরের ইসলামপুরে বানের পানিতে ডুবে মারা গেছে ৮ বছরের এক শিশু। নেত্রকোণা আর শেরপুরেও দুর্ভোগে বানভাসিরা। দ্রুত পানি বাড়ছে ঢাকার চারপাশের নদ নদীতে। এরইমধ্যে মানিকগঞ্জে পদ্মার পানি বিপদসীমায় পৌঁছেছে।

ধরলা, তিস্তা, ঘাঘট, যমুনাসহ উত্তরাঞ্চলের বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি বেড়েছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এরইমধ্যে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে লালমনিরহাট-রংপুর-কুড়িগ্রাম-সিরাজগঞ্জসহ উত্তরের বেশিরভাগ জেলার নিচু এলাকা। কুড়িগ্রামে দুই লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি। ডুবেছে বাড়িঘর-রাস্তাঘাট-ফসলি জমি। ত্রাণ সঙ্কটে বিপাকে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ। এক বানভাসি জানালেন, মালপত্র টেনে আশ্রয়কেন্দ্র পর্যন্ত নিয়ে আসছেন। তার পাট, ফসল সব ডুবে গেছে।

আরও পড়ুন: বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল কমলেও সুনামগঞ্জের বানভাসিদের বেড়েছে দুর্ভোগ

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply