খাদ্যশস্য রফতানি করতে পারছে না ইউক্রেন, তুরস্কের সাথে আলোচনা

|

ছবি: সংগৃহীত

রুশ আগ্রাসনের জেরে বন্ধ হয়ে গেছে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রফতানি। শীর্ষস্থানীয় রফতানিকারক দেশটির কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় গোটা বিশ্বেই দেখা দিয়েছে খাদ্য সঙ্কট, বেড়েছে দাম।

আগ্রাসন শুরুর পর কৃষ্ণসাগরে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ইউক্রেন। যেটুকু চালু রয়েছে, সেই জাহাজগুলোও আছে নিরাপত্তা শঙ্কায়। সঙ্কট কাটাতে এবার জাতিসংঘ এবং তুরস্কের সাথে আলোচনায় বসেছে ইউক্রেন। ‘গ্রিন জোন’ চালুর মাধ্যমে রফতানি স্বাভাবিক করার পথ খুঁজছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার কারণে যদি খাদ্য সরবরাহ আরও বাধাগ্রস্ত হয়, তাহলে এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোতে খাদ্য সঙ্কট আরও বাড়বে। এরই মধ্যে বিশ্বব্যাপী আকাশচুম্বী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। ভ্লামির পুতিনের আগ্রাসী আচরণই এর জন্য দায়ী।

মস্কোর দাবি, রফতানিমুখী জাহাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। খাদ্যশস্য পরিবহনে কোনো বাধা দিচ্ছে না রুশ সেনারা। ইউক্রেন থেকে তুরস্কের শস্য আমদানিতেও দিয়েছেন সবুজ সংকেত।

পুতিনের ভাষ্য, খাদ্যপণ্য রফতানি নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। আর শস্য পরিবহনে আমরা কখনও বাধা দিইনি। তুরস্ক চাইলেই গম, ওটস আমদানি করে পুনরায় রফতানি করতে পারে।

মধ্যস্ততাকারী হিসেবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের আশা দু’পক্ষের সাথে আলোচনায় সুফল আসবে।

এরদোগান বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন ও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সাথে আলোচনার জন্য চেষ্টা করছি। দু’জনের সাথে সাক্ষাত করবো। ইউক্রেন থেকে তুরস্কে খাদ্য পরিবহন করে যেসব দেশে খাদ্য সঙ্কট রয়েছে সেখানে রফতানির পরিকল্পনা রয়েছে।

যুদ্ধ শুরুর আগে প্রতিমাসে ৪৫ মিলিয়ন টন কৃষিপণ্য রফতানি করতো ইউক্রেন। জাতিসংঘ বলছে, রুশ-ইউক্রেন সঙ্কট শুরুর পর বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম অন্তত ৩০ শতাংশ বেড়েছে। সূত্র: রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply