কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণ ব্যয় বাড়ায় বিপাকে আড়তদাররা

|

কাঁচা চামড়া সংরক্ষণের ব্যয় বেড়েছে। এর মূল কারণ, লবণ ও শ্রমিকের বাড়তি খরচ। আড়তদারদের দাবি, গত বছরের চেয়ে প্রতি বর্গফুটে ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৩০ টাকা। তারপরও চামড়া বিক্রিতে গড়িমসি করছে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। তাদের আশঙ্কা হচ্ছে, পশু কোরবানি কম হয়ে থাকলে এবার সংগ্রহের কাঙ্খিত লক্ষ্য পূরণ হবে না। অন্যদিকে, আরও ভালো দাম চান ফড়িয়ারা।

ঈদের ২য় দিনেও রাজধানীর পোস্তায় ব্যস্ততার শেষ নেই। ঝক্কি এড়াতে যারা দেরিতে পশু কোরবানি দেন, সেই চামড়ার আনাগোনা বেড়েছে সকাল থেকেই। পাশেই যোগানের বড় অংশ কিনে ফেলা আড়তে চলছে লবণ মাখানোর যুদ্ধ। দাম নিয়ে তর্ক এখানে নিত্যদিনের ঘটনা। সরকার বর্গফুটে দর বেধে দিলেও এখানে বেচাকেনা হয় চোখের মাপে। সাথে চামড়ার ছুড়ির ভুল পোচ কিংবা স্পট মিললেই দর কমে যায় হু হু করে। আড়তদারদের অবস্থা এবার বেগতিক। তাদের দাবি, পর্যাপ্ত চামড়া কিনতে তারা প্রস্তুত। সে অনুযায়ী লবণ আর কেমিক্যালও মজুদ হয়েছে। অথচ দাম ছাড়ছেন না মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। এক আড়তদার বলেন, বহিরাগতদের দেখা যাচ্ছে। সরকারের নির্ধারিত মূল্যেই আমরা মাল নিচ্ছি। কিন্তু অন্য অনেকেই দিক নির্দেশনা অনুসরণ না করে মাল নিয়ে যাচ্ছে। আরেকজন জানান, আগে কেবল পোস্তার বাজারেই কাঁচা চামড়া আসতো। এখন যায় আরও দুই জায়গায়।

মুনাফার কথা স্বীকার করলেন চামড়ার ফড়িয়ারাও। কোভিডের ক্ষতি সামলে নিতে মরিয়া সবাই। ফড়িয়াদের দাবি, বর্গফুটে অন্তত ১০ টাকা বেশি মিলছে। কিন্তু সরকারি রেটের চেয়ে আড়তে দাম কম। তাই বিনিয়োগ করে বিপাকে কিছু মসজিদ আর মাদ্রাসাও। ফড়িয়ারা জানান, দাম কিছুটা বাড়তি, কিন্তু এটা তো চামড়ার মূল্য হয় না। বলতে গেলে একদমই মাগনা। এটা এতিমদের সম্পদ।

ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, কোরবানি দাতারা নিজের পশুর চামড়ার লবণ মাখিয়ে সংরক্ষণ করবেন, সেই উদ্যোগ ধোপে টেকেনি। অনেক ফড়িয়া আসছেন মানহীন চামড়া নিয়ে। তবে সার্বিক যোগানে প্রভাব পড়বে না। হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আফতাব খান বলেন, ২-১ টা ঘটনা এমন হতে পারে। হয়তো ২-১ টা জায়গায় কোনো ক্রেতাই যায়নি। নইলে সব জায়গায়ই ক্রেতা থাকে কাঁচা চামড়া কেনার জন্য। কোরবানি দাতাদের সরকার বলেছিল, আপনারা লবণ দিয়ে রেখে দেন; এতে সম্পদটা বেঁচে যাবে। এটা শতভাগ গরিবের হক।

আরও পড়ুন: কোরবানির বর্জ্য অপসারণ নিয়ে যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply