নিজস্ব প্রযুক্তিতে অত্যাধুনিক ফাইটার জেট তৈরি করেছে তাইওয়ান

|

সংগৃহীত ছবি।

তাইওয়ানের বিমান বাহিনীতে যুক্ত হলো নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরী প্রশিক্ষক ফাইটার জেট। AT-5 ব্রেভ ইগল নামের এই যুদ্ধবিমানে পরিচালনা করতে পারবেন ২জন পাইলট। কর্তৃপক্ষ বলছে, এ বিমান চালালে বহুমুখী আক্রমণ এবং যেকোনো ধরনের যুদ্ধবিমান চালনায় দক্ষ হয়ে উঠবেন একজন পাইলট।

নিজস্ব প্রযুক্তি এবং উদ্যোগে সামরিক সরঞ্জাম তৈরিতে গেলো কয়েক বছর ধরেই নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তাইওয়ান। তারই ধারাবাহিকতায় এবার দেশটির বিমান বাহিনীতে যুক্ত হলো, প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান AT-5 ব্রেভ ইগল। দু বছর আগে পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন হলেও, চলতি বছরই বহরে যুক্ত হয়েছে এই যুদ্ধবিমানটি।

তাইওয়ানের বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা হুয়াং ইউয়ান বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হলো কিভাবে একজন পাইলটকে যুদ্ধবিমান পরিচালনা এবং এর খুঁটিনাটি বিষয়ে দক্ষ করে তোলা যায়। সে লক্ষ্যেই এ বিমানটি ডিজাইন করা হয়েছে।

তাইওয়ানের আকাশযান গবেষণা সংস্থা অ্যারোস্পেস ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের উদ্যোগে নির্মাণ করা হয়েছে এ প্রশিক্ষণ বিমান। দেশটির বিমান বাহিনী বলছে, নিজেদের সামরিক সক্ষমতা ও আধুনিকায়নকে মাথায় রেখেই ডিজাইন করা হয়েছে AT-5 ব্রেভ ইগল। এটি ব্যবহারের মাধ্যমে, বহুমুখী হামলা এবং যুদ্ধবিমান চালনায় দক্ষ হয়ে উঠবেন বিমানচালকরা।

তাইওয়ান বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষক হুয়াং ইউয়ান শ্যাং হাও বলেন, আগের বিমানগুলোর চেয়ে এই যুদ্ধবিমানগুলোর ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেম অনেক আধুনিক। এটার ডিজাইন এমনভাবে করা হয়েছে যাতে, আকাশ থেকে আকাশে এবং আকাশ থেকে ভূমি, দুইভাবেই হামলা করা যায়। এমনকি ভারি পে-লোড নিয়েও বিমানগুলো খুব ছোটো রানওয়েতেও নির্বিঘ্নে টেকঅফ করতে পারে এই ফাইটার জেট। তাই যারাই এ যুদ্ধবিমানের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নেবেন তারা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে টেকঅফ-ল্যান্ডিংয়ের পাশাপাশি বহুমুখী হামলার বিষয়েও প্রশিক্ষিত হতে পারবেন।

তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ বলছে, এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২৩০ কোটি ডলার।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply