দুর্দশা কাটিয়ে উঠতে পারেনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। বরং প্রথম দুই ম্যাচে ব্রাইটন ও ব্রেন্টফোর্ডের সাথে রেড ডেভিলদের পারফরমেন্সে মনে হয়েছে, ওল্ড ট্রাফোর্ডে সহসাই কাটবে না এই দুঃসময়। কোচ এরিক টেন হ্যাগের সাথে হাত না মিলিয়েই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর টানেলে অদৃশ্য হয়ে যাওয়াও বলে দেয়, খুব আগ্রহ নিয়ে এই ক্লাবে খেলছেন না তিনি। সুযোগ পেলে এখনও ম্যানইউ ছাড়বেন রোনালদো। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের স্ট্রাইকার ম্যাথেয়াস কুনহাকে ওল্ড ট্রাফোর্ডে নিয়ে আসতে চাইছেন এরিক টেন হ্যাগ। রোনালদোর ক্লাব ছাড়তে চাওয়ার সেই সুযোগের পুরোটাই তাই এখনও মিলিয়ে যায়নি।
ট্রান্সফার উইন্ডো বন্ধ হওয়ার আগেই ম্যানইউ ছাড়তে হবে রোনালদোকে। আর প্রথম দ্যুই ম্যাচের বিপর্যয়ে টেন হ্যাগকেও ভাবতে হচ্ছে নতুন করে খেলোয়াড় নিয়ে আসা প্রসঙ্গে। আর রোনালদোকে বিক্রি করে এখনও খেলোয়াড় কিনতে পারবেন তিনি। রোনালদোকে ক্লাবে রেখে দেয়ার সিদ্ধান্তের ব্যাপারেও তাই কিছুতা নমনীয় হতে হচ্ছে ম্যানইউকে; এমনটিই জানিয়েছে গোল ডটকম। তবে এর সবকিছুই করতে হবে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। তবে রোনালদোকে রেড ডেভিলরা ছাড়বে কেবল নতুন ফরোয়ার্ড এলেই।
আর এখানে চলে এসেছেন ম্যাথেয়াস কুনহা। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের এই ফরোয়ার্ড আছেন টেন হ্যাগের রাডারে। সেই সাথে, হাকিম জিয়েচকেও দারুণ পছন্দ করেন টেন হ্যাগ। চেলসিতে চুক্তি নবায়ন নাও করতে পারেন টেন হ্যাগ, এমন কথাও শোনা যাচ্ছে। সেই সাথে, আয়াক্সের উইঙ্গার অ্যান্টনির ব্যাপারেও টেন হ্যাগের আগ্রহ আছে বলে জানা গেছে।
ম্যানইউ এই ট্রান্সফার উইন্ডোতে ডারউইন নুনেজ ও বেঞ্জামিন সেসকোকে দলে ভেড়াতে চেয়েও পারেনি। এছাড়া সমর্থকদের প্রতিবাদে মার্কো আরনাউতোভিচের ব্যাপারে আগ্রহ বাদ দিতে হয়েছিল। রোনালদোকে না ছাড়ার পেছনে এসবও ছিল কারণ। তাছাড়া টেন হ্যাগ ভেবেছিলেন, সিআরসেভেনের কাছ থেকে সেরা ফুটবল আদায় করতে পারবেন তিনি। কিন্তু প্রাক মৌসুমে থাইল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া সফরেও জাননি পর্তুগীজ সুপারস্টার। আর প্রথম দুই ম্যাচেও সিআরসেভেনের পারফরমেন্সে ম্যাচ ফিটনেসের ঘাটতি খুঁজে পেতে পারে বিশ্লেষকরা।
স্বাভাবিকভাবেই ম্যানইউ ও রোনালদোর বন্ধন খুব দারুণ কোনো সুবাতাস বইয়ে দিচ্ছে না ক্লাবে। দলে তাই নতুন ফরোয়ার্ড এলে রোনালদোর ক্লাব ছাড়া অসম্ভব নাও হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে, আগ্রহী ক্লাব খুঁজে বের করার কাজটাও করতে হবে হোর্হে মেন্ডেজবিহীন রোনালদোকে।
আরও পড়ুন: সহজ জয়ে মৌসুম শুরু অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও য়্যুভেন্টাসের
/এম ই
Leave a reply