বাংলাদেশের কিউরেটর ও গ্রাউন্ডসম্যানরা খুবই দক্ষ। কেবল উইকেটে সঠিকভাবে ঘাসের ব্যবহার করে ময়েশ্চায় নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই মিলবে সেরা উইকেট। এমন কথা বলেছেন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের হেড অফ টার্ম ম্যানেজমেন্ট ইভান জোসেফ ম্যাকেন্ড্রি।
বিশ্বমানের উইকেট তৈরিতে জুড়ি নেই নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের। পিচে গতি থাকে স্পিনও হয় কার্যকারী। সেই সাথে ব্যাটাররাও রান করতে পারে। স্পোর্টিং উইকেটের জন্য বিখ্যাত ব্লাকক্যাপ ক্রিকেট বোর্ড।
তবে, চিত্রটা ভিন্ন বাংলাদেশে। তাইতো বাংলাদেশের কিউরেটরদের প্রশিক্ষণ দিতে দুইদিনের জন্য ম্যাকেন্ড্রিকে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে বিসিবি। নিউজিল্যান্ডের এই প্রধান কিউরেটর ঘুরে দেখেছেন মিরপুরের উইকেট; উড়ে গিয়েছিলেন কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও সিলেটে। টাইগারদের সুযোগ-সুবিধায় সন্তুষ্ট ম্যাকেন্ড্রি।
ম্যাকেন্ড্রি বলেছেন, বাংলাদেশের সুযোগ-সুবিধা বেশ ভালো। কর্মকতারাও খুবই আন্তরিক। বিশ্বমানের গ্রাউন্ডসের জন্য যা যা প্রয়োজন সব সুবিধাই আছে এখানে।
বাংলাদেশের উইকেট টি-টোয়েন্টির জন্য খুবই বেমানান। বিশেষ করে মিরপুরে মন্থর উইকেট হতাশ করে সমর্থকসহ ক্রিকেটারদেরও। কেন স্পোর্টিং উইকেট তৈরি করতে পারছেন না গামিনিরা?
এর উত্তরে ম্যাকেন্ড্রি জানান, এখানকার কিউরেটর ও গ্রাউন্ডসম্যানরা খুবই দক্ষ। মাঠকর্মীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও তারা প্রায় সবকিছুই জানে এবং কাজটাকে ভালোবাসে। তবে উইকেটে ঘাসের ব্যবহার করে ময়েশ্চার নিয়ন্ত্রণ করাটা শিখতে হবে।
মূলত কিউরেটরদের প্রশিক্ষণ দিতে আনা হয়েছিল ইভান জোসেফ ম্যাকেন্ড্রিকে। কিন্তু স্পোর্টিং উইকেট তৈরিতে কি পরামর্শ চাওয়া হয়েছে এই কিউটরের কাছে? বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আলম বলেছেন, বড় পরিবর্তনের সুযোগ নেই। তবে আরও উন্নতি করা সম্ভব।
বছরে অন্তত দুইবার কিউরেটরদের জন্য এমন ওয়ার্কশপ করতে চায় বিসিবি। তবে ভালো ফল পেতে সাবেক ক্রিকেটারদের এই পেশায় যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মাহাবুব আনাম।
জেডআই/
Leave a reply