অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর দল থেকেই ছিটকে গেছেন মুমিনুল হক। একটা সময়ে বাংলার ব্র্যাডম্যানের খেতাব পাওয়া এই ক্রিকেটার চেষ্টায় আছে আবারও জাতীয় দলে ফিরতে। নিজের ৩১তম জন্মদিনেও নেটে পার করেছেন সময়। লক্ষ্য অবিচল রেখে দ্রুতই জাতীয় দলে ফিরতে নিজেকে তৈরি করে যাচ্ছেন এই ক্রিকেটার।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে মুমিনুলের উত্থান হয়েছিল ধূমকেতুর মতোই। এরপর ফর্মহীনতায় ছিটকে গেলেন দল থেকে। ২৯ সেপ্টেম্বর জন্মদিনের সকালটায় মিরপুরের একাডেমি মাঠে হাজির মুমিনুল। ৩১তম বসন্তে ঘুণে ধরা পারফরমেন্সে চেষ্টায় আছেন শুধরে নিতে। কোনো রকম সেফ কিট ছাড়াই নিবিড় অনুশীলনে ব্যস্ত সাবেক টেস্ট অধিনায়ক।
২০১৩ সালে গল টেস্টে অভিষেক হয়েছিল মুমিনুল হকের। নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচেই দেখা পেয়েছিলেন অর্ধশতকের দেখা। এরপরে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই ব্যাটারকে। নিজের হাতেই লেখেন নিজের ক্রিকেট কাব্য।
টেস্টে বাংলাদেশের বড় অর্জনগুলোর অন্যতম সারথী ছিলেন মুমিনুল। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদেরকেই বধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এই ব্যাটার। টেস্ট একটা সময় অপরিহার্য সদস্য হয়ে উঠেন তিনি। একটা সময় ৫০ এর উপর গড় থাকা এই ক্রিকেটারের ঘটে ছন্দপতন। অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর গড় নেমে আসে ৩২ এর নিচে। আর সব মিলিয়ে ৫৪ টেস্টে সাড়ে ৩৭ গড়ে তার রান সংখ্যা ৩৫২৯।
মিরপুরের নেটে বলও ঘুরিয়েছেন ছোট কাঁধে এক সময় বড় দায়িত্ব নেয়া মুমিনুল হক। সেই সাথে ভাগ্য ঘুরিয়ে নিজের অবস্থান আবারও পাকা করতে লক্ষ্যে অটল টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক।
জেডআই/
Leave a reply