দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙন, ঝুঁকিতে ঘাটসহ শতাধিক বসতবাড়ি

|

পদ্মায় তীব্র স্রোত, হঠাৎ করেই ভাঙছে দৌলতদিয়ার সিদ্দিক কাজীপাড়া এলাকা। বেশকিছু বাড়ি বিলীনের পর ভাঙন আতঙ্কে তড়িঘড়ি বসতঘর সরিয়ে নিচ্ছে নদীতীরবর্তী মানুষ। গত সপ্তাহে বেশকিছু বাড়িঘর বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে। এরপর থেকেই ভাঙন ঝুঁকিতে ঘাটসহ শতাধিক বসতবাড়ি। বালুর বস্তা ফেলা হলেও তাকে লোক দেখানো বলছেন ভাঙন কবলিত মানুষ।

রাজবাড়ির গোয়ালন্দে এ বছর রুদ্ররূপ নিয়েছে নদী। স্থায়ী নদী শাসনের কাজ সময়মত শুরু না হওয়ায় এই ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ৫ নম্বর ঘাট সংস্কার হয়নি। ভাঙন ঠেকাতে ঘাট কর্তৃপক্ষের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই বলেই এমন দুর্যোগ বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

তবে দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া প্রান্তে ঘাট আধুনিকায়নের জন্য ৬৮০ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পায় গত অর্থবছর। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ আরিচা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম জানালেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড সময়মত কাজ শুরু করতে না পারায় প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে দ্বিগুণ। এখন শুষ্ক মৌসুমে কাজ শুরু করার আশা করছেন তারা।

প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী দৌলতদিয়া অংশে ৬ কিলোমিটার এলাকায় স্থায়ী নদী শাসনের কাজ হবে।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply