ইরানে বিক্ষোভ থেকে আটককৃত শিশুদের রাখা হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে

|

ছবি: সংগৃহীত

তেহরানে পুলিশের হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যুকে ঘিরে চলমান বিক্ষোভ থেকে আটককৃত শিশুদেরকে মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দাবি- চলমান হিজাববিরোধী বিক্ষোভ দমনে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৩ শিশুর। খবর সিএনএনের।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায় সিএনএন। জানা গেছে, ইরানে সম্প্রতি অন্তত ৩০০ জন টিন এজারকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

ইরানের শিক্ষামন্ত্রী ইউসেফ নূরিকে উদ্ধৃত করে ইরানের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, রাজপথের বাইরে এমনকি ক্লাসরুমের ভেতর থেকেও প্রতিবাদী শিশুদের গ্রেফতারের ঘটনা ঘটছে। তবে গ্রেফতারকৃত স্কুলশিক্ষার্থীদের সংখ্যা খুব বেশি নয়। আমি নির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান দিতে পারছি না। তবে, সমাজবিরোধী হয়ে ওঠা ঠেকাতে ও সংশোধন-পুনর্বাসন করতেই আটককৃত শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে, সম্প্রতি দেয়া এক বিবৃতিতে ইরানের মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী হাসান রইসি বলেন, আটককৃত শিশুদেরকে মাদকসংক্রান্ত অপরাধে জড়িত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্মিত বন্দিশিবিরগুলোতে রাখা হচ্ছে, যা উদ্বেগজনক। ১৮ বছরের কম বয়সী কাউকে কোনোভাবেই ১৮ বছরের বেশি বয়সী অপরাধীর সঙ্গে রাখা যাবে না। এটি নিঃসন্দেহে আইনি বাধ্যবাধকতা।

তেহরানভিত্তিক সংগঠন শিশু অধিকার সুরক্ষা সমাজ জানিয়েছে, বিক্ষোভে যোগ দেয়া আটক শিশুদের কোথায় রাখা হয়েছে, সে বিষয়ে তাদের পরিবার কিছু জানতে পারছে না। যথাযথ আইনি প্রতিনিধিত্ব ছাড়াই তাদের মামলার কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছে তারা।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply